ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

সাবেক কমিশনারসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৯:৪৫ এএম, ১৭ নভেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার

ঘটনার সাত বছর পর পুলিশি নির্যাতনে স্বামী হত্যার অভিযোগ এনে আদালতে মামলার আবেদন করেছেন এক নারী। মামলায় রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) সাবেক কমিশনার মো. শামসুদ্দিনসহ পুলিশের ৯ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। 

বুধবার মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ আবেদন করেন মর্জিনা রহমান (৫০)। তার বাড়ি রাজশাহী নগরের বোয়ালিয়া মডেল থানার উপশহর এলাকায়।

মামলার এজাহারে সাবেক কমিশনার ছাড়াও বোয়ালিয়া থানার তৎকালীন ওসি নুর হোসেন খন্দকার, নগর পুলিশ গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) তৎকালীন পরিদর্শক আশিকুর রহমান ও বোয়ালিয়া থানার তৎকালীন এসআই তৌহিদুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত পাঁচ পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়। 

তাদের মধ্যে সাবেক পুলিশ কমিশনার মো. শামসুদ্দিন ২০২০ সালের শেষের দিকে অবসরে গেছেন।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মোসাব্বিরুল ইসলাম বলেন, আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন। এরপর পর্যালোচনা করে একটা আদেশ দেবেন। এখনও মামলা আমলে নেওয়া বা আদেশ দেওয়া সম্পর্কে আদালত কিছু বলেননি।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি মর্জিনা রহমানের স্বামী আইনুর রহমান ওরফে মুক্তার বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা করে পুলিশ। ওই মামলায় ২৭ জানুয়ারি আইনুর রহমানকে উপশহর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়। সেদিনই তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। 

কারা কর্তৃপক্ষ গুরুতর আহত আইনুর রহমানকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

পরে পুলিশ সদস্যরা স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করলেও দাফন না হওয়া পর্যন্ত তারা পাহারায় ছিলেন। লাশের ময়নাতদন্ত করতে দেয়া হয়নি।

বাদীর আইনজীবী মাইনুল আহসান বলেন, “বাদীর স্বামীর বিরুদ্ধে একটি রাজনৈতিক মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় গ্রেপ্তারের পর তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করছেন। এজন্য হেফাজতে মৃত্যুর আইনে তিনি (বাদী) আদালতে মামলার আবেদন করেছেন।”

ঘটনার সাত বছর পর কেন মামলার আবেদন করা হলো এ বিষয়ে আইনজীবী মাইনুল আহসান বলেন, বাদী মামলা দিয়েছেন, তিনি আইনজীবী হিসেবে আদালতে জমা দিয়েছেন। এছাড়া তথ্য-উপাত্ত খোঁজ করতে দেরি হয়েছে বলে আরজিতে বলা হয়েছে। এখন আদালতের ব্যাপার। তবে এ বিষয়ে আদালত এখনও কোনো আদেশ দেননি।”

এএইচ