খাদ্য নিরাপত্তায় ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:০৫ পিএম, ১৭ নভেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার
দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষি খাতের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ৪ শতাংশ সুদে কৃষকরা এই তহবিল থেকে ঋণ নিতে পারবেন। তিন মাস গ্রেস পিরিয়ডসহ সর্বোচ্চ ১৮ মাসের জন্য এই ঋণ নিতে পারবেন কৃষকরা।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই তহবিল থেকে কৃষকরা ঋণ নিয়ে ধান চাষ, মৎস্য চাষ করতে পারবেন। এছাড়া এই তহবিলের ঋণ কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচিতে উল্লেখিত শাক-সবজি, ফল ও ফুল চাষ, প্রাণিসম্পদ খাতের আওতায় পোল্ট্রি ও দুগ্ধ উৎপাদনের জন্য নেওয়া যাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করে, বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে দুর্বল সরবরাহ ব্যবস্থার কারণে বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশ্বে খাদ্য সংকট সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে কৃষি খাতে স্বল্প সুদ হারে ঋণ প্রবাহ বজায় রাখার জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এই তহবিলের মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এই তহবিল থেকে কেবল কৃষকরাই ঋণ পাবেন। ক্ষুদ্র প্রান্তিক ও বর্গা চাষিরা শস্য ও ফসল (ধান, শাক-সবজি, ফল ও ফুল) চাষের জন্য এককভাবে জামানতবিহীন সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। ব্যাংকগুলো শস্য ও ফসল খাতে কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা অনুযায়ী সর্বোচ্চ পাঁচ একর জমিতে চাষাবাদের ক্ষেত্রে শুধু সংশ্লিষ্ট ফসল দায়বন্ধনের বিপরীতে ঋণ বিতরণ করা যাবে।
এছাড়া শস্য ও ফসল ব্যতীত অন্য খাতের ক্ষেত্রে গ্রাহক ব্যাংকার সম্পর্কের ভিত্তিতে জামানত গ্রহণের মাধ্যমে ব্যাংক ইচ্ছা করলে ঋণ দিতে পারবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এই তহবিলের নেওয়া ঋণ কোনোভাবেই গ্রাহকের পুরাতন ঋণ সমন্বয়ের জন্য ব্যবহার করা যাবে না। ঋণ খেলাপিরাও এই তহবিল থেকে ঋণ পাবেন না।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ধান চাষ, মৎস্য চাষ, কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচিতে উল্লেখিত শাক-সবজি, ফল ও ফুল চাষ, প্রাণিসম্পদ খাতের আওতায় পোল্ট্রি ও দুগ্ধ উৎপাদন খাতে এই তহবিলের ঋণ বিতরণ করা যাবে।
এমএম/