দীপন হত্যা: পুলিশের চোখে ‘গ্যাস স্প্রে’ করে দুই জঙ্গিকে ছিনতাই
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:৩৫ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০২২ রবিবার | আপডেট: ০৪:৩১ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০২২ রবিবার
মোটরসাইকেলে করে পালাচ্ছে দুই জঙ্গি। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে পাওয়া ছবি।
জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফীন দীপন হত্যা মামলায় আদালতে আনার পর পুলিশের চোখেমুখে গ্যাস স্প্রে করে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই সদস্যকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে সহযোগীরা।
ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল থেকে রোববার দুপুর ১২টার দিকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এ দুই আসামি পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন।
পালিয়ে যাওয়া দুই আসামি হলেন আবু সিদ্দিক সোহেল ও মইনুল হাসান শামীম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশকে স্প্রে করে আগে থেকে প্রস্তুত একটি মোটরসাইকেলে চড়ে দ্রুত পালিয়ে যায় তারা। মোটরসাইকেলের চালক ছিল আরেকজন।
পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গিকে ধরতে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর আজিজ সুপার মার্কেটে নিজের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জাগৃতির কার্যালয়ে খুন হয়েছিলেন দীপন।
এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বরখাস্ত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুর সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার ও শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের।
গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি আসামিদের সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। আসামিদের মধ্যে জিয়া ও আকরাম পলাতক। বাকিরা গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন। তাদের সবাই নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য।
এএইচএস