সারা দেশের আদালতে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৫৬ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০২২ রবিবার
দেশের সব আদালতের নিরাপত্তা জোরদার করতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন। রোববার (২০ নভেম্বর) সুপ্রিমকোর্টের মুখপাত্র ও আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, দেশের সব আদালতের নিরাপত্তা জোরদার করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়। প্রধান বিচারপতির নির্দেশে সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন থেকে সারাদেশের অধস্তন আদালতগুলোতে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। যেন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে।
জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফীন দীপন হত্যা মামলায় আদালতে আনার পর আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশের চোখে-মুখে গ্যাস স্প্রে করে পালিয়ে যায় নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই সদস্য। দুপুরে রাজধানীর রায়সাহেব বাজার মোড়সংলগ্ন ঢাকার সিজেএম আদালত ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, দুই জঙ্গি মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির ও মো. আবু ছিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিবকে তাদের সহযোগীরা ছিনিয়ে নিয়েছে। একটি মামলায় শুনানি শেষে আদালত থেকে হাজতখানায় নেয়ার পথে দুই জঙ্গির সহযোগীরা হাজতখানা পুলিশের চোখে স্প্রে ছিটিয়ে, কিল-ঘুষি মেরে তাদের ছিনিয়ে নেয়। এরপর তারা দু’টি মোটরসাইকেলে করে রায়সাহেব বাজার মোড়ের দিকে পালিয়ে যান।
গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় ৮ আসামির মৃত্যুদন্ডাদেশ দেয় আদালত। ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেয়। দন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান এবং আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাবের নাম রয়েছে।
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের নিজ অফিসে জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। সেদিন বিকেলে তার স্ত্রী শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি দক্ষিণের সহকারি পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান। চার্জশিটে আটজনকে অভিযুক্ত এবং ১১ জনকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
এসি