কাতার সম্পর্কে পাঁচটি বিস্ময়কর তথ্য
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:১৪ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০২২ রবিবার
২০২২ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক দেশ কাতার। এর বাইরে কাতার সম্পর্কে মানুষ কতটা জানে? এখানে কাতার সম্পর্কে পাঁচটি তথ্য তুলে ধরা হলো, যেগুলো আপনি হয়তো জানেন না।
প্রথমত: কাতারে জনসংখ্যায় নারীর চেয়ে পুরুষের সংখ্যা অনেক বেশি। ২০০৩ সালে দেশটিতে মোট জনসংখ্যা ছিল সাত লাখের নিচে। আর ২০১৬ সালে মোট জনসংখ্যা ছিল প্রায় ২৫ লক্ষ।
অভিবাসী শ্রমিকদের দ্বারা কাতারে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চলছে। গত দশ বছরে বিপুল পরিমাণে বিদেশি শ্রমিক কাতারে গিয়েছে। এদের বেশিরভাগই যুবক এবং পুরুষ। ফলে মোট জনসংখ্যায় নারী-পুরুষ ভারসাম্য নেই।
দ্বিতীয়ত: লন্ডনে প্রচুর সম্পদ কিনেছে কাতার। ২০১৭ সালেই যুক্তরাজ্যে তাদের বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৪৫ থেকে ৫১ বিলিয়ন ডলারের মতো।
বর্তমানে তা প্রায় পাঁচ বিলিয়ন পাউন্ডের মতো বেড়েছে বলে ধারণা করা হয়।
তৃতীয়ত: পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি মাথাপিছু আয়ের দেশ কাতার। ছোট এ দেশটিতে তেল ও গ্যাসের বিশাল মজুতের কারণে এটি সম্ভব হয়েছে।
২০১৬ সালের তথ্যমতে কাতারে মাথাপিছু আয় প্রায় এক লাখ ত্রিশ হাজার ডলার।
চতুর্থত: কাতার একটি রক্ষণশীল দেশ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু গত কয়েক বছরে দেশটি শিল্পকলার জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছে।
রাজধানী দোহায় ইসলামিক আর্ট জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রায় ১৪০০ বছরের নানা ধরনের চিত্রকর্ম এখানে প্রদর্শিত হচ্ছে।
পঞ্চম: শিল্পকর্মের প্রতি কাতারের আগ্রহ জাদুঘর থেকে বিস্তৃত হয়ে খোলা জায়গায় এসেছে।
যারা দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়েছেন তাদের চোখে বিশাল আকৃতির একটি ভাল্লুকের শিল্পকর্ম চোখে পড়েছে নিশ্চয়ই।
সুইজারল্যান্ডের একজন ভাস্করের তৈরি এ ভাস্কর্যটি ব্রোঞ্জের তৈরি এবং এর ওজন প্রায় ২০টন।
২০১১ সালে নিউইয়র্কে এক নিলাম থেকে প্রায় সাত মিলিয়ন ডলার খরচ করে এ ভাস্কর্যটি ক্রয় করে কাতার সরকার।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
এসবি/