বাদ আছর আজিমপুরে আলী ইমামের দাফন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৫৫ এএম, ২২ নভেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার
সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শিশুসাহিত্যিক আলী ইমামের মরদেহ নেওয়া হয়েছে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে। মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় সেখানে মরদেহ নিয়ে আসা হয়।
এর আগে ধানমণ্ডি ৭ নম্বর সড়কের বায়তুল আমান মসজিদে ফজর নামাজের পর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বাদ জোহর চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে হবে দ্বিতীয় জানাজা। এরপর বাদ আছর আজিমপুর কবরস্থানে বহুমাত্রিক এই লেখককে দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য, শিশু সাহিত্যিক ও টিভি ব্যক্তিত্ব আলী ইমাম সোমবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি শ্বাসযন্ত্র, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগে ভুগছিলেন।
বরেণ্য এ শিশুসাহিত্যিক ১৯৫০ সালের ৩১ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছয়শোরও বেশি বইয়ের লেখক।
আলী ইমাম কর্মজীবনে একাধিক স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন (২০০৪-২০০৬) এর মহাব্যবস্থাপকও ছিলেন।
১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৭ বছর তিনি ইউনিসেফের ‘মা ও শিশুর উন্নয়নে যোগাযোগ কার্যক্রম প্রকল্প’ পরিচালক ছিলেন। ওই দায়িত্ব পালনকালে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে, জার্মানির মিউনিখে, ব্রাজিলের রিওতে অনুষ্ঠিত ‘চিলড্রেন মিডিয়া সামিটে’ যোগদান করেন। জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত ‘প্রি জুঁনেসি চিলড্রেনস টিভি প্রোডাকশন প্রতিযোগিতা’র (২০০০) জুরির দায়িত্ব পালন করেন।
এ ছাড়াও তিনি ছিলেন ‘সার্ক অডিও ভিজুয়াল বিনিময় অনুষ্ঠানে’র প্রধান সমন্বয়কারী (২০০০-২০০১)। টেলিভিশন ও বেতারে শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানের নির্মাতা ও উপস্থাপক হিসেবে তার বিশিষ্টতা বিশেষ প্রশংসনীয়।
বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘হ্যালো, আপনাকে বলছি’ (১৯৯৯-২০০৪) নামে তার উপস্থাপিত সরাসরি অনুষ্ঠানটি জনপ্রিয় হয়েছিল। এ-ছাড়াও বাংলাদেশ টেলিভিশনের বিখ্যাত প্রামাণ্য শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান ‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া’র (১৯৮০-১৯৮৭) আলোচিত প্রযোজক ছিলেন আলী ইমাম।
শিশু সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য আলী ইমাম বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার (২০০১) এবং শিশু একাডেমী শিশুসাহিত্য পুরস্কার (২০১২) ছাড়াও অনেক পুরস্কার লাভ করেছেন।
এসএ/