ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ১ ১৪৩১

স্ক্যানার মেশিন না থাকায় হিলি দিয়ে বাড়ছে স্বর্ণপাচার (ভিডিও)

হিলি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:০৮ পিএম, ২৩ নভেম্বর ২০২২ বুধবার

স্ক্যানার মেশিন না থাকায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে স্বর্ণপাচারের অবাধ সুযোগ পাচ্ছে আন্তর্জাতিক সিন্ডিকেট। আকাশপথের পাশাপাশি স্থলপথেও সক্রিয় তারা। 

হিলি দিয়ে প্রতিদিন পারাপার হন ৫-৬শ’ যাত্রী। কিন্তু তাদের ব্যাগেজ ও দেহতল্লাশিতে নেই কোনো স্ক্যানার মেশিন। এ সুযোগে নানা কৌশলে ভারতে পাচার হচ্ছে সোনাসহ বিভিন্ন পণ্য। 

সম্প্রতি প্রায় দুই কোটি টাকা মূল্যের ২৪টি সোনার বারসহ পাঁচজন পাচারকারীকে আটক করে হিলি কাস্টমস গোয়েন্দা। অন্যদিকে, কয়েকজন বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী কাস্টমসের চোখ ফাঁকি দিয়ে ভারতে স্বর্ণপাচার করলেও ধরা পড়ে সেদেশের কাস্টমসের হাতে।  

হিলি কাস্টমস গোয়েন্দা সুপার শোয়েব রায়হান বলেন, “যেহেতু একটা চক্র এটার সঙ্গে জড়িত তারা যেদিক দিয়ে সুবিধা পায় ঠিক সেদিকটা ব্যবহার করে।”

ঢাকার চকবাজারসহ বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহের পর কলকাতার বড়বাজারের দোকানে বিক্রি করা হয় এসব সোনা। প্রতিটি ১০ গ্রাম সোনার বারে তাদের লাভ হয় তিন হাজার টাকা। 

স্ক্যানার মেশিনে সহজেই ধরা যেতো পাচারকারীদের। কমতো সব ধরনের চোরাচালানও। 

রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ বলেন, “গোল্ড বা ডলার যারা পাচার করে তাদের তো আমরা চিনি না।”

হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ওসি মো.বদিউজ্জামান বলেন, “কাস্টমসে অত্যাধুনিক একটা স্ক্যানার মেশিন সংযোজন করলে এই ধরনের চোরাচালান রোধ করা সম্ভব হবে।”

স্বর্ণসহ পণ্যপাচার রোধে স্ক্যানার বসানো এবং কাস্টমসকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান স্থানীয়দের।

তারা জানান, “অত্যাধুনিক মেশিনপত্র যদি এখানে থাকতো তাহলে নিশ্চয়ই ভালো চেকিং হতো। স্বর্ণ পাচারের সঙ্গে যে জড়িত তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক এবং এখান থেকে স্বর্ণপাচার বন্ধ করা হোক।”

এএইচ