সমুদ্রের ভাঙনরোধে বিজ্ঞানীদের উপায় বের (ভিডিও)
আবদুল আজিজ, কক্সবাজার থেকে
প্রকাশিত : ১২:২০ পিএম, ২৬ নভেম্বর ২০২২ শনিবার
দীর্ঘ গবেষণায় সমুদ্রের ভাঙনরোধের উপায় বের করেছেন সমুদ্রবিজ্ঞানীরা। কেয়া, নিসিন্ধা ও নেন্টেনাসহ সামুদ্রিক গাছ রোপণের পরামর্শ দিয়ে তারা বলছেন, এতে পাড়ে প্রাকৃতিকভাবে ডেইল তৈরি ও সমুদ্রের আকার বড় এবং সৌন্দর্য্য বাড়ানো ঝাউগাছ রক্ষাসহ হারানো জীববৈচিত্র্যের পুনরুদ্ধার হবে।
মানুষের অত্যাচার ও জলবায়ু পরিবর্তনে ভাঙছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারের পাড়। লাবণী, সুগন্ধা, কলাতলী, কবিতা চত্বরসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টের ভাঙনে সৌন্দর্য্য হারাচ্ছে ১২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সৈকত।
গবেষণার ফলাফল বলছে, সামুদ্রিক উদ্ভিদে গড়ে উঠা বালুর ডেইল পাড়ে বেড়িবাঁধ তৈরি ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। তাই ‘জিওব্যাগ’ নয়, ভাঙন ঠেকাতে হবে প্রাকৃতিকভাবেই।
বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ও সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর বলেন, “এই বালিয়াড়িগুলো উপকূলের পাশে বেড়িবাঁধের মতো হবে এবং দিনে দিনে সমুদ্রের আকার পরিবর্তন হবে, জীব বৈচিত্র্য ফিরে আসবে, যত্রতত্র মানুষের বৈসাম্যতা থাকবে না, পূর্বের রূপ ফিরে আসবে।”
ঝাউগাছ সৌন্দর্য্য বাড়ালেও সমুদ্রপাড়ের বালি ধরে রাখতে পারে না। তাই এই নান্দনিক গাছ রক্ষায়ও বালিয়াড়িতে ডেইল তৈরি করতে হবে।
সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর বলেন, “জোয়ারের পানি যখন আসে তখন ঝাউগাছের তলা থেকে বালি সরে যায় এবং বালি সরে গেলে ঝাউগাছ আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। এটিকে রক্ষা করতে হলে এর সামনে বালিয়াড়ি তৈরি করতে হবে।”
উন্নত দেশের প্রযুক্তি ব্যবহারে আরও বেশি গবেষণাও প্রয়োজন- বলছেন গবেষকরা।
এই গবেষক আরও বলেন, “সমুদ্রের যে ঢেউ বা বাতাসের তীব্রতা সেগুলো সমুদ্রে বিনষ্ট হয়ে যায়। বিশ্বের বিভিন্ন বালুকাময় সৈকতকে রক্ষা করার জন্য দেখেছি এধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।”
এএইচ