ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

আয়কর রিটার্ন দাখিলে সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ (ভিডিও)

মেহেদী হাসান, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫৮ এএম, ৩০ নভেম্বর ২০২২ বুধবার

আয়কর রিটার্ন দাখিলে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। মাত্র ৩১ শতাংশ করদাতা রিটার্ন জমা দেন। যদিও পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে এই হার ৭১ ও শ্রীলঙ্কায় ৮৮ শতাংশ।  বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সার্বিক কর-ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা থাকায় বাংলাদেশে এমন চিত্র। রাজস্ব খাতের প্রয়োজনীয় সংস্কার, অনিয়ম রোধ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের তাগিদ তাদের।

দেশে বর্তমানে ই-টিআইএনধারীর সংখ্যা প্রায় ৭৪ লাখ। অথচ ২০২০-২১ অর্থবছরে রিটার্ন জমা পড়েছে প্রায় ২৪ লাখ। রিটার্ন জমার হার মাত্র ৩১ শতাংশ। অথচ শ্রীলঙ্কায় এই হার ৮৮ শতাংশ। আর পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ৭১ শতাংশ করদাতা আয়কর রিটার্ন জমা দিচ্ছেন। নেপালে এ হার ৭২ শতাংশ।  

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সনাতনী কর ব্যবস্থাপনার কারণেই পিছিয়ে আছে বাংলাদেশে। নীতি প্রণয়ন ও কর আদায়ের দায়িত্ব একই বিভাগের ওপর ন্যাস্ত। এখানে বড় ধরনের সংস্কার পরিচালনার সুযোগ রয়েছে। 

এনবিআর সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, “কর দিতে হবে, এই পরিবেশকে ৫ বছর মূলক করতে হবে, স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতার ব্যাপার থাকতে হবে। করের টাকা কিভাবে ব্যয় হচ্ছে সেব্যাপারেও করদাতা জনগণের আস্থা তৈরি করতে হবে। না হলে মানুষ কর দিতে আসবে না।”

এছাড়া উন্নত দেশের মতো স্বনির্ধারিত কর পদ্ধতি ও বছরজুড়ে অনলাইনে কর দেয়ার সুযোগ তৈরি করতে হবে। সার্বিকভাবে গোটা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি গণহারে কর রেয়াত দেয়ার সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। 

ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, “যাকে-তাকে কর এরিয়া দেওয়া হচ্ছে, বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে কিন্তু সেখানে কর নাই। বহু লোক কর না দিয়ে ঠিকই নানান ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কোনো উদ্যোগ নেই।”

রাজস্ব খাতে অনিয়ম রোধের পাশাপাশি মানুষের মাঝে বিদ্যমান কর-ভীতি দূর করাও গুরুত্বপূর্ণ, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। 

এনবিআর এই সাবেক চেয়ারম্যান আরও বলেন, “যাদের কাছে ট্যাক্স পাওয়া কথা তারা কর দিচ্ছেন না এবং আমরা কর নিচ্ছিনা বা পাচ্ছি না। এখানেই অর্থনৈতিক সার্বিক পরিবেশ, প্রশাসনিক পরিবেশ-পরিস্থিতি এমন তৈরি করতে হবে যাতে মানুষ কর দেয়।”

দেশের মোট আয়করের ৭৪ শতাংশই আসে ঢাকা থেকে। আর চট্টগ্রাম থেকে আসে প্রায় ১৬ শতাংশ। 

এএইচ