থাইল্যান্ডের পাতায়া সৈকতের আদলে গড়ে উঠছে সাবরাং (ভিডিও)
হাসান ফেরদৌস, চট্টগ্রাম থেকে
প্রকাশিত : ১২:৩৮ পিএম, ৩ ডিসেম্বর ২০২২ শনিবার | আপডেট: ১২:৪০ পিএম, ৩ ডিসেম্বর ২০২২ শনিবার
কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী উপজেলা টেকনাফের সাবরাংকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ পর্যটন কেন্দ্রে। এক হাজার ৪৭ একর জমিতে থাইল্যন্ডের পাতায়া সৈকতের আদলে গড়ে তোলা হচ্ছে এই পর্যটন কেন্দ্র। এরই মধ্যে এখানে ৭০টির বেশি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
কক্সবাজারের কলাতলী থেকে টেকনাফের যেখানে গিয়ে মেরিন ড্রাইভ শেষ হয়েছে, তার পাশে ১ হাজার ৪১ একর জমিতে গড়ে তোলা হচ্ছে সাবরাং পর্যটন অঞ্চল। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের পাড়ে থাইল্যান্ডের পাতায়ার আদলে একটি আর্ন্তজাতিক মানের পর্যটন অঞ্চলে রূপ দেয়ার কাজ চলছে পুরোদমে।
এরমধ্যে শুরু হয়েছে মাটি ভরাটের কাজ। আগামী ফেব্রুয়ারি মধ্যে এসব কাজ শেষ হবে আশা বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল বেজার কর্মকর্তাদের।
সাবরাং’র পাশাপাশি নাফ নদীর মোহনায় জালিয়াদ্বীপেও গড়ে তোলা হচ্ছে আরেকটি পর্যটন কেন্দ্র। এরমধ্যে এই পর্যটন কেন্দ্রে থাইল্যান্ডের একটি প্রতিষ্ঠান ৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগের চুক্তি করেছে বেজার সঙ্গে। সেখানে থাকবে সুন্দরবনের থিম পার্ক ও নাইট সাফারি, রয়্যাল ক্যাসিনো, গলফ ক্লাব, অ্যাকোয়ারিয়াম, জাদুঘর, হেরিটেজ পার্ক, শপিং মল, রেস্টুরেন্ট, ক্লাবসহ অন্যান্য সুবিধা।
এছাড়াও থাকছে ১০০ শয্যার হাসপাতাল এবং একটি স্কুল।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ বেজা চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, “আমরা একটি বড় প্রকল্প জমা দিয়েছি। ওই প্রকল্প যদি একনেকে পাস হয়ে যায় তাহলে আগামী দুই বছরে তা তৈরি করতে পারবো। ”
এদিকে সাগরতীরে গড়ে তোলা বিশেষায়িত এই পর্যটন কেন্দ্রে ১৩০টির বেশি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে বলে জানান উদ্যোক্তারা। এতে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলেও জানান তারা।
বেসরকারী শিল্প উদ্যোক্তা ও হাইওয়ে সুইটসের সত্বাধিকারী মুরাদ চৌধুরী বলেন, “উপযুক্ত একটা পরিবেশ এখানে হবে। সেজন্য আমরা এখানে বিনিয়োগ করার জন্য উদ্যোগী হয়েছি। আশা করি, এখানে ট্যুরিজমের ভালো একটা সেক্টর হবে।”
শুধু পর্যটন কেন্দ্র নয়, কক্সবাজার হবে ঢাকার পরই দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চল। সেই লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, “পরিকল্পনা আছে শুধু অর্থনৈতিক অঞ্চল ও পর্যটন নয়, কক্সবাজারকে কেন্দ্র করে ঢাকার পরেই এখানে বড় অর্থনৈতিক কেন্দ্র হবে।”
পর্যটন শিল্পের বিকাশে সরকার এরই মধ্যে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নির্মাণ করছে রেললাইন। এছাড়া নির্মাণ করা হচ্ছে অনান্য অবকাঠামো। এসব প্রকল্প শেষ হলে কক্সবাজার বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে উঠবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
এএইচ