ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

মেসি-আলভারেসের গোলে শেষ আটে আর্জেন্টিনা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:১৬ এএম, ৪ ডিসেম্বর ২০২২ রবিবার

লিওনেল মেসির গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। বিরতির পর সেই ধারা ধরে রাখে লা আলবিসেলেস্তরা। ব্যবধান দ্বিগুণ করতে সময় নেয়নি। অবশ্য অজি গোলকিপারই দায়ী। তিনি ভুল না করলে হয়তো গোলের দেখা পেতেন না হুলিয়ান আলভারেস। 

তার উপস্থিত বুদ্ধির কারণেই শেষ পর্যন্ত কোয়ার্টারে পৌঁছে যায় আর্জেন্টিনা। শেষ দিকে অবশ্য একটা গোল শোধ করে সকারুরা। এ ক্ষেত্রে তারাও পেয়েছে এনজো ফার্নান্দেজের সাহায্য। এই আর্জেন্টাইনের গায়ে লেগেই মূলত গোলটি পায় অজিরা। 

শনিবার রাতে আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়ামে শেষ ষোলোর ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মেসিরা।

সেইসঙ্গে পৌঁছে যায় কোয়ার্টারে, যেখানে তাদের জন্য আগে থেকে অপেক্ষা করছে নেদারল্যান্ডস। আগামী ৯ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১টায় মুখোমুখি হবে দুই দল।

এদিন, খেলার ৩৫ মিনিটে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন মেসি। নিকোলাস ওটামেন্ডির পাস থেকে দারুণভাবে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। প্রথমে অবশ্য ফ্রি-কিক নিয়েছিলেন। কিন্তু তা প্রতিরোধ করে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু আর্জেন্টিনা বলের দখল নিতে সময় নেয়নি। ম্যাক আলিস্টার বল বাড়িয়ে দেন ওটামেন্ডিকে। প্রথম স্পর্শেই মেসিকে বাড়িয়ে দেন তিনি। নিচু করে বলকে জায়গামতো পৌঁছে দেন আলবিসেলেস্তে ফরোয়ার্ড।

বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবমিলিয়ে আর্জেন্টিনার হয়ে এটি নবম গোল মেসির। এর মধ্যদিয়ে ছাড়িয়ে গেলেন কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনাকে। ১০ গোল নিয়ে তার সামনে আছেন কেবল গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা। 

তবে বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে এবারই প্রথম গোল করলেন এই ফরোয়ার্ড। চলতি আসরে এটি তার তৃতীয় গোল।

এরপর ৫৭ মিনিটে বল রিসিভ করতে গিয়ে চাপের মুখে পড়েন অস্ট্রেলিয়ান গোলকিপার। আলভারেস তার কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে দারুণ এক শটে গোল এনে দেন আর্জেন্টিনাকে। 

এর আগে পোল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচেও গোল করেছিলেন এই স্ট্রাইকার। ২০০৬ বিশ্বকাপে হার্নান ক্রেসপোর পর বিশ্বকাপে নিজের প্রথম দুই ম্যাচেই শুরুর একাদশে থেকে গোল করা প্রথম আর্জেন্টাইন ফুটবলার এই আলভারেস।

দু’গোলে খেলায় ফেরার চেষ্টা করেও পারছিল না অস্ট্রেলিয়া। তাদের ম্যাচে ফেরাল এনজো ফার্নান্দেজের আত্মঘাতী গোল। ৭৭ মিনিটের মাথায় বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট মারেন অস্ট্রেলিয়ার গুডউইন। বক্সের মধ্যে ফার্নান্দেজের শরীরে লেগে বলের দিক বদলে যায়। কিছু করার ছিল না গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজের।

এক গোল করার পরে দ্বিতীয় গোলের জন্য উঠে যায় অস্ট্রেলিয়ার পুরো দল। ফলে প্রতি আক্রমণ থেকে একের পর এক সুযোগ আসে আর্জেন্টিনার কাছে। মেসির ক্রস থেকে গোল করার দু’টি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন লাউতারো মার্টিনেজ। মেসিরও একটি শট একটুর জন্য বাইরে যায়। 

শেষ মিনিটে বিপদ তৈরি হয় আর্জেন্টিনার গোলের সামনে। ভালো জায়গায় বল পেয়ে যান অস্ট্রেলিয়ার কুয়োল। কিন্তু তার শট দুর্দান্ত ক্ষিপ্রতায় বাঁচিয়ে দেন মার্টিনেজ। নইলে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে আরও অপেক্ষা করতে হতো মেসিদের।

এনএস//