ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

‘বাংলাদেশকে আমরা স্থিতিশীল অবস্থায় রাখতে সক্ষম হয়েছি’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২১ পিএম, ৫ ডিসেম্বর ২০২২ সোমবার | আপডেট: ১২:৩৬ পিএম, ৫ ডিসেম্বর ২০২২ সোমবার

করোনা ভাইরাস ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিকে একটি অস্থির অবস্থায় নিয়ে গেছে, মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এমন পরিস্থিতিতেও আমরা বাংলাদেশকে স্থিতিশীল অবস্থায় রাখতে সক্ষম হয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একটি মহল নানা কথা বলে মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে বিভ্রান্তের চেষ্টা করছে। দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই উন্নতি সম্ভব হচ্ছে, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে বাংলাদেশ।”

সোমবার সকালে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স-২০২২ ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স-২০২২ এর গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব একথা বলেন।

জ্বালানি সংকটের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যুদ্ধকালীন এই সংকটে অনেক ধনী দেশ জ্বালানি সাশ্রয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমরাও নানা পদক্ষেপ নিই। অথচ জ্বালানি নিয়ে নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে মানুষকে পক্ষে টানা হচ্ছে।”

বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা আর কেউ বন্ধ করতে পারবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশকে এগিয়ে নিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। অন্যথায় স্বাধীনতার চেতনা ধরে রাখা যাবে না।”

সরকার প্রধান জানান, বাংলাদেশ কারও কাছে হাত পেতে চলবে না। ২০৪১ সালের মধ্যে হবে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ।

তিনি বলেন, “জাতির পিতা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূল মন্ত্র দিয়ে গেছেন—তা হলো “সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়”।” 

শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, আমরা দাবি করতে পারি যে, প্রতিটি দেশের সাথেই আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আমার ও আমার পরিবারের সকলের বিরুদ্ধে পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু প্রমাণিত হয়েছে এখানে কোনো দুর্নীতি হয়নি। তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম নিজের অর্থে পদ্মা সেতু করব। তখন অনেকে বলেছে এটা কখনও সম্ভব না। অনেক দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে যখন আলোচনা করেছি তারা বলেছে, এটা সম্ভব না। অসম্ভবকে সম্ভব করা এটাই বাঙালির চরিত্র। এটা আমরা করতে পারব, আমরা করেছি।”

শেখ হাসিনা বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশ করা নিয়ে নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছিলাম। তখনও অনেকে মুচকি হেসেছিল। আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে একটা দৃষ্টান্ত। আজ গ্রামে বসে ছেলে-মেয়েরা ফ্রিল্যান্সিং করে ডলার আয় করে। এই সুযোগটা আমরা করে দিয়েছি।”

সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, “যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে সশস্ত্র বাহিনী আমাদের পাশে থাকে। তারা মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। জাতিসংঘের কাছেও আমাদের পুলিশ, আর্মি অনেক প্রশংসিত।”

বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দায় কোনোরকম বিলাসিতা না করে সাশ্রয়ী হতে আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী।
এসএ/