তেল ও ডলার সংকটে শীঘ্রই আসছে স্বস্তিকর পরিস্থিতি (ভিডিও)
তৌহিদুর রহমান, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৪৪ পিএম, ৫ ডিসেম্বর ২০২২ সোমবার | আপডেট: ১২:৫৮ পিএম, ৫ ডিসেম্বর ২০২২ সোমবার
ব্রুনাই থেকে অন্তত ১০ লাখ টন এলএনজি ও ২ লাখ টন জ্বালানি তেল আনা সম্ভব হলে বিদ্যমান সংকট কেটে যাবে। বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, ডলার সাশ্রয়ে ডেফার্ড পেমেন্ট বা বাকিতে মূল্য পরিশোধের সুবিধা নিতে পারলে অর্থনীতির ওপর বাড়তি চাপও পড়বে না।
গত ১৫ অক্টোবর বাংলাদেশ সফরে আসেন ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসান আল বলকিয়া। সফরে জ্বালানি সহযোগিতাসহ কয়েকটি চুক্তি সম্পন্ন হয়।
এরই প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি ব্রুনাই সফর করে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল। বৈঠক হয় দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে।
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, ২০২৩ সালের শুরুতে বছরে ১৫ লাখ টন লিক্যুফাইড ন্যাচারাল গ্যাস বা এলএনজি আমদানি করা সম্ভব হবে।
এই মুহূর্তে কাতার, ওমান-সহ কয়েকটি দেশের সঙ্গে ৩৬ লাখ টনের চুক্তি রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রুনাই থেকে বাড়তি ১০ লাখ টন এলএনজি আমদানি করতে পারলে বিদ্যমান জ্বালানি সংকট কেটে যাবে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম তামিম বলেন, “আমরা যদি ১ বা ২ মিলিয়ন টন দীর্ঘ মেয়াদী চুক্তিতে পেতে পারি, বর্তমানে কাতার-ওমানের সঙ্গে যে চুক্তি আছে একই ধারায়। বা এদিক-ওদিক করে যদি তেলের দামের উপর আমরা দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিটা করতে পারি তাহলে অবশ্যই অ্যানার্জি সিকিউরিটি ইমপ্রুব করবে। আমি মনে করি, এটা বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে।”
ডলার সংকটের কারণে বিনাসুদে ডেফার্ড পেমেন্ট বা দেরিতে মূল্য পরিশোধ সুযোগ পেলে অর্থনীতির ওপরও চাপ বাড়বে না। তাই জ্বালানি আমদানির ক্ষেত্রে এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
ড. ম তামিম বলেন, “সুদবিহীনভাবে যদি দেড়িতে দাম পরিশোধ করা যায় সেক্ষেত্রে একটা স্বস্তির জায়গা পাওয়া যাবে। বাংলাদেশ আশা করছে যে, সামনে আইএমএফ’র লোন আসতেছে সেখান থেকে ডলারের সংস্থান হবে। সব দিক দিয়ে চিন্তা করলে আরেকটু স্বস্তিকর পরিস্থিতি বৈদেশিক মুদ্রার ক্ষেত্রে হবে বলে সামনে আশা করা যায়।”
ব্রুনাইয়ের সঙ্গে জ্বালানি সহযোগিতা চুক্তি বাস্তবায়ন হলে বিদ্যুতের সংকটও থাকবে না বলে আশা করছেন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক।
পাওয়ার সেল মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, “যেখানে ইন্ডাস্ট্রিয়ালে লাগার কথা ১৩শ’ এমএম সিএফটি, আমরা সাড়ে ৮-৯শ’ পাই। সুতরাং এখানে যদি আরও ১শ’ যোগ করতে পারি তাহলে কিন্তু আমাদের জন্য বড় স্বস্তিদায়ক হবে।”
এলএনজি আমদানির সুযোগ বাড়লে তা বহনে প্রয়োজনীয় ট্রান্সপোর্ট বা জাহাজ নিশ্চিত করার দিকেও গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
এএইচ