স্পেনকে হারানোর কৌশলের কথা জানালেন মরক্কোর কোচ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৫৬ পিএম, ৭ ডিসেম্বর ২০২২ বুধবার
কাতার বিশ্বকাপে শেষ ষোলর ম্যাচে নাটকীয় এক জয়ের মাধ্যমে স্পেনকে বিদায় করে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে মরক্কো। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের শেষ আটে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে আফ্রিকান দেশটি।
এর আগে ১৯৮৬ সালে একবারই নকআউটে খেলেছিল মরক্কো। যেখানে শেষ ষোল থেকেই তাদের বিদায় নিতে হয়েছিল।
পুরো ম্যাচে স্পেনকেই বেশি বল নিয়ে পজিশন নিতে দেখা গেছে। আর এটা মরক্কোর কৌশল ছিল বলেই জানিয়েছেন কোচ ওয়ালিদ রেগ্রাগুই।
রক্ষণভাগ সামলানোর দিকেই বেশি মনোযোগী ছিল মরক্কো। তার ফলও পেয়েছে। পুরো ১২০ মিনিট তারা স্পেনকে গোল করতে দেয়নি। রেগ্রাগুই এ সম্পর্কে বলেছেন, ‘বলের পজিশন না নেয়াটা আমাদের পরিকল্পনা ছিল।’
মধ্যমাঠে সার্জিও বাসকুয়েটস, পেড্রি ও গাভি যাতে খুব বেশি সচল হতে না পারে সেজন্য চারদিন ধরে পুরো দলকে নিয়ে কাজ করেছেন রেগ্রাগুই। তিনি বলেন, ‘১২০ মিনিট যে কয়টি পাস তারা করেছে তাতে আমাদের সুযোগ খুব কমই ছিল। আমরা জানতাম না কিভাবে তাদের শাস্তি দেয়া যায়। আমাদের সুস্পষ্ট গেমপ্ল্যান ছিল, কোনরকমে তাদের রুখে দিয়ে ম্যাচটি পেনাল্টি পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়া।”
তিনি আরও বলেন, “ফলাফল সম্পূর্ণই ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে, এটা লটারি। কিন্তু আমাদের গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো অসাধারণ খেলেছে।”
স্পেনকে হারানোর পর কোচকে নিয়ে মরক্কোর খেলোয়াড়দের উল্লাস
কাল কার্লোস সোলার ও সার্জিও বাসকুয়েটসের শট রুখে দেন মরোক্কা গোলরক্ষক। আর পাবলো সারাবিয়ার শট পোস্টে লাগে। আর এতেই স্পেন তাদের নির্ধারিত পেনাল্টি শটের একটিতেও গোল করতে পারেনি।
মাদ্রিদে জন্ম নেয়া আশরাফ হাকিমির গোলে কাতারে মরক্কোর রূপকথার আরও একটি গল্প রচিত হয়। এর আগে গ্রুপ পর্বে বেলজিয়াম ও কানাডাকে হারিয়ে এবং ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে ড্র করে শীর্ষ দল হিসেবে নক আউটের টিকিট পেয়েছিল উত্তর আফ্রিকান দলটি। চার ম্যাচে তারা মাত্র একটি গোল হজম করে।
মরক্কোর কোচ রেগ্রাগুই বলেন, “বিশ্বকাপ শুরুর সময় থেকে আমরা যে দলগুলোর বিপক্ষে খেলেছি তারা তাদের শতভাগ দিতে পারেনি। এ কারণেই আমরা এগিয়ে যাবার সুযোগ পেয়েছিলাম। আমরা এমন একটি পরিবার তৈরি করেছিলাম, যার ফলে আমাদের মনে হতো সব মানুষই আমাদের সাথে আছে।”
“বিশ্বকাপ শুরুর আগে আমাকে যদি জিজ্ঞেস করা হতো ক্রোয়েশিয়া, বেলজিয়াম ও কানাডার বিরুদ্ধে আমার পরিকল্পনা কি, তবে আমি হয়তো তেমন কিছুই কলতে পারতাম না।”
এএইচ