করোনা ও যুদ্ধ মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:৫৫ পিএম, ৮ ডিসেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন, একদিকে করোনা মহামারি এবং আরেক দিকে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ; যেটা আসলে মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে। এ ধরনের যুদ্ধ যাতে না হয়। আমরা সব সময় শান্তি চাই। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে ১৯তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “শিল্প-সংস্কৃতি যে কোনো জাতির আত্মপরিচয় বহন করে। শিল্পীর তুলির আঁচরেই উঠে আসে একটি দেশ ও জাতির রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক অবস্থান ও প্রাকৃতিক পরিবেশ। মানুষের চেতনাকে ঋদ্ধ করে। আমাদের মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার আদায়ের সংগ্রামও প্রাণ পেয়েছিল শিল্পীর আঁচরে। আমাদের শিল্পীরা বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন বাংলাদেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে।”
তিনি বলেন, “পঁচাত্তরের পরে একুশ বছর পর আমরা সরকার গঠন করার সুযোগ পাই। আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর থেকে শিল্পকলা একাডেমি যাতে আরো সুন্দরভাবে গড়ে ওঠে তার মাস্টার প্ল্যান তৈরি করি। সেখানে জাতীয় নাট্যশালা, এক্সপেরিমেন্টাল স্টুডিও থিয়েটার, সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তন, চারুকলা মিলনায়তন, নন্দন ও উন্মুক্ত মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা ৬৪ জেলায় শিল্পকলা একাডেমির নতুন ভবন তৈরি করে দিয়েছি। ৪৯৩টি উপজেলায় শিল্পকলা একাডেমি স্থাপন করা হয়েছে। আমরা সংস্কৃতির সেবা একেবারে তৃণমূলের মানুষের কাছে নিয়ে যেতে চাই। একদিকে তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করছি, পাশাপাশি শিল্পী মনের বিকাশ যাতে হয় সে পদক্ষেপ আমরা নিচ্ছি।”
১৯তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমাদের শিল্পীদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হয়েছে ১৯তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী। এতে বাংলাদেশ, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মিসর, তুরস্ক, পর্তুগাল, ভেনেজুয়েলাসহ ১১৪ দেশের ৪৯৩ জন শিল্পী অংশ নিচ্ছেন।
চার দশক ধরে এই উৎসবের আয়োজন করে আসছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত এ প্রদর্শনী চলবে।
এসএ/