বাংলাদেশকে ৩৩ মিলিয়ন ইউরো দেবে জার্মানি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:১৩ পিএম, ৮ ডিসেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৯:৪৭ পিএম, ৮ ডিসেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার
বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে স্বাক্ষরিত দুটি চুক্তির অধীনে ইউরোপীয় দেশটি বাংলাদেশকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে অনুদান হিসাবে ৩৩ মিলিয়ন ইউরো প্রদান করবে।
বৃহস্পতিবার ইআরডি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বুধবার স্বাক্ষরিত দুটি চুক্তি অনুযায়ী ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও জ্বালানি সক্ষমতা তৃতীয়’ শীর্ষক প্রকল্পের জন্য আর্থিক সহযোগিতা (এফসি) ২০২১ চুক্তির অধীনে ১০ মিলিয়ন ইউরো (জিটুজি) অনুদান এবং ‘জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজিত নগর উন্নয়ন (সিসিএইউডিপি) ফেজ-২ (খুলনা)’ শীর্ষক প্রকল্পের জন্য ৩৩ মিলিয়ন ইউরো অনুদান দেয়া হবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খান বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ‘অনুদান চুক্তিতে’ স্বাক্ষর করেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত আশিম ট্রয়েস্টার এবং কেএফডব্লিউ-এর কান্ট্রি ম্যানেজার স্টেফান ইশনার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ জার্মান দূতাবাস, জার্মান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক কেএফডব্লিউ এবং জার্মান কারিগরি সহযোগিতা সংস্থা জিআইজেড ও বিজিআর এর পদস্থ কর্মকর্তারা এবং বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কেএফডব্লিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে জার্মান ডেভলপমেন্ট কোঅপারেশন খুলনায় জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজিত নগর উন্নয়ন কর্মসূচি, সিসিএইউডিপি- ফেজ টু বাস্তবায়নের জন্য ৩১.৫ মিলিয়ন ইউরো অনুদান দিবে। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে খুলনা সিটি কর্পোরেশন (এলজিইডি) এই কার্যক্রমটি সম্পন্ন করবে।
এই প্রোগ্রামটি মূলত বাংলাদেশের উপকূলীয় শহর খুলনায় জলবায়ু পরিবর্তন এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শহুরে জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার অবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করে।
এই প্রোগ্রামটি কমপ্রিহেন্সিভ ড্রেনেজ নিষ্কাশন নেটওয়ার্ক স্থাপন, খাল পুনরুজ্জীবিতকরণ, জনসাধারণের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে ও ভূ-পৃষ্ঠে অন্যান্য প্রয়োজনীয় বন্যা সহনশীল অবকাঠামো স্থাপনের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলার জন্য অভিষ্ঠ গোষ্ঠীর সহনশীলতা বৃদ্ধি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অনুদানের ১.৫ মিলিয়ন ইউরো প্রয়োজনীয় সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাজে জন্য ব্যবহার করা হবে। এছাড়া, প্রকল্পের কারিগরি মূল্যায়ন এবং তদারকি, প্রশিক্ষণ, প্রকল্প অধিগ্রহণের পাশাপাশি অপেক্ষমান প্রকল্পগুলির উন্নয়নে সহায়তা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে।
এসি