ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

মুক্তির সংগ্রামে বিদেশীদের অবদান (ভিডিও)

জসিম জুয়েল, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৩০ এএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২২ শনিবার | আপডেট: ১০:৫৩ এএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২২ শনিবার

একাত্তরে বাঙ্গালীর মুক্তির সংগ্রামে লড়েছিলেন বিদেশীরাও। রণাঙ্গন থেকে পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞের খবর বিশ্ববাসীকে জানিয়েছিলেন বিদেশি সাংবাদিকরা।

একাত্তরের ২৫ শে মার্চ- ইতিহাসের সেই কালো রাত থেকে ১৬ ডিসেম্বরে বিজয় অর্জন পর্যন্ত- বিদেশী সংবাদ মাধ্যম ও সাংবাদিকরা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের এক একটি অস্ত্র।  

লন্ডনের ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকার সাংবাদিক সাইমন ড্রিং; ক্যামেরাম্যান মাইকেল লরেন্টকে সঙ্গে নিয়ে তুলে আনেন মার্চে পাকিস্তানি বাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞ-গণহত্যার চিত্র। ‘ট্যাংকস ক্রাশ রিভোল্ট ইন পাকিস্তান’ শিরোনামে সংবাদ বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দেয় রক্তাক্ত বাংলার বিভৎস চিত্র। 

সাংবাদিক অ্যান্থনি ম্যাসকারহেনস-এর সানডে টাইমসে লেখা ‘জেনোসাইড বাংলাদেশ’ স্বাধীনতার আরেকটি দলিল, যা সেসময় ঝড় তোলে পুরো বিশ্বে। 

মুক্তিযোদ্ধা লেখক ও গবেষক হারুন হাবীব বলেন, ২৫ শে মার্চ থেকেই সংবাদপত্র প্রকাশ বন্ধ করে দেয় পাকিস্তানি সেনাবহিনী। এমনকি যুদ্ধ ক্ষেত্রের সত্যিকারের চিত্র তুলে ধরতেও বাধা দেয়া হয়।

রণাঙ্গনের এই সাংবাদিক আরও বলেন, সামরিক আধিপত্যের কারণে মুলধারার পত্রিকাগুলো তখন ভুমিকা রাখতে না পারলেও, সীমান্ত এলাকার অনেক পত্রিকা মুক্তিযুদ্ধের আসল চিত্র তুলে ধরেছিলো।

মুক্তিকামী বাঙ্গালীর সমর্থনে সামিল হয় প্রতিবেশি দেশ ভারত। জয় বাংলা ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়েছিলো দিল্লির রাজপথ। গণহত্যা বন্ধের স্লোগানে কাঁপে দিলি­তে পাকিস্তানী হাইকমিশন।

বাংলার মুক্তির সংগ্রামের ঢেউ আছড়ে পড়ে সুদূর বিলেতেও। লন্ডনের ডাউনিং স্ট্রিটে যুদ্ধের পুরোটা সময়ই প্রতিবাদের ঝড় তোলেন প্রবাসী বাঙ্গালীরা। বিশ্বের ৮৫টি দেশে অ্যাকশন কমিটি গঠন করে শুরু হয়েছিলো ত্রাণ, অস্ত্র-গোলাবারুদের জন্য অর্থ সংগ্রহ ও জনমত গঠন। 

ব্রিটিশ পার্লামেন্টেও চলে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা। ৩শ’ এমপি স্বাধীনতার পক্ষে একমত হয়ে পাকিস্তানকে সব ধরনের সাহায্য দেয়া বন্ধ করে দেয়ার সিদ্বান্ত নেন।

পাকিস্তানের মদদদাতা রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রেও বাংলার মুক্তির সংগ্রাম ঝড় তুলে। হুমকি-হুশিয়ারি উপেক্ষা করে হোয়াইট হাউসের সামনেই শুরু হয় আন্দোলন।

লাখো বাঙ্গালীর জীবন বাঁচাতে নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ আয়োজন করেন পন্ডিত রবি শঙ্কর ও জর্জ হ্যারিসন। 

এমএম/