বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিনের বীরত্বগাথা
মানিক শিকদার
প্রকাশিত : ১০:০১ এএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২২ রবিবার | আপডেট: ১০:০৮ এএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২২ রবিবার
স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন। বীরত্বপূর্ণ সাহসিকতার স্বীকৃতি হিসেবে সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত করা হয় এই বীর যোদ্ধাকে। মুক্তিযুদ্ধে বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিনের বীরত্বগাঁথা নিয়ে মানিক শিকদারের প্রতিবেদন।
বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিনের জন্ম ১৯৩৫ সালে নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে উপজেলার বাঘপাঁচড়া গ্রামে।
১৯৫৩ সালে জুনিয়র মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে পাকিস্তান নৌবাহিনীতে যোগ দেন।
স্বাধীনতা ঘোষনার পর পাকিস্তান নৌবাহিনী ছেড়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। অসীম সাহসিকতায় ২নম্বর সেক্টরে বেশ কয়েকটি সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেন।
সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ নৌবাহিনী গঠন করা হলে ভারত সরকার বাংলাদেশ নৌ বাহিনীকে দুটি টাগবোট উপহার দেয়। এগুলোকে গানবোটে রূপান্তর করে পদ্মা ও পলাশ নামকরণ করা হয়। যুদ্ধজাহাজ পলাশের ইঞ্জিনরুম আর্টিফিশার হিসেবে নিয়োগ পান রুহুল আমিন।
৬ ডিসেম্বর মংলা বন্দরে পাকিস্তানি নৌ-ঘাটি পি.এন.এস তিতুমীর দখলে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর নৌবহর রওয়ানা হয়। ১০ ডিসেম্বর দুপুরে খুলনা শিপইয়ার্ডের কাছাকাছি পৌছালে অপ্রত্যাশিতভাবে মিত্রবাহিনীর তিনটি জঙ্গীবিমান পদ্মা ও পলাশের উপর হামলা চালায়।
পলাশের কমান্ডার সবাইকে গানবোট ত্যাগ করার নির্দেশ দিলে সবাই নামলেও রুহুল আমিন গান বোট রক্ষার চেষ্টা চালান। এরই এক পর্যায়ে গোলার আঘাতে ধ্বংস হয় পলাশের ইঞ্জিনরুম। শেষমূহুর্তে রুহুল আমিন রূপসা নদীতে লাফিয়ে পড়েন।
প্রাণশক্তিতে ভরপুর এ যোদ্ধা তীরে উঠলেও সেখানে অপেক্ষরত রাজাকারের দল আহত এই বীর সন্তানকে নির্মম নির্যাতনে হত্যা করে।
রূপসা তীরে বীরশ্রেষ্ঠ রূহল আমিন স্মরণে নির্মাণ করা হয় স্মৃতিসৌধ।
এসবি/