ঢাকা, শনিবার   ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৫ ১৪৩১

মাছ ধরার ‘বাউত উৎসবে’ মানুষের ঢল (ভিডিও)

রাজিউর রহমান রুমী, পাবনা থেকে

প্রকাশিত : ১০:৫৩ এএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২২ রবিবার | আপডেট: ১১:২৯ এএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২২ রবিবার

চলনবিলে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী মাছ ধরার ‘বাউত উৎসবে’ মানুষের ঢল। তবে প্রভাবশালীদের দৌরাত্ম্যে চায়নাজালে প্রজনন ধ্বংস হওয়ায় দেশি মাছের অভাবে ঐতিহ্য হারাচ্ছে এই উৎসব। 

প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে পলো, খেয়াজাল, বাদাইজালসহ নানা সরঞ্জাম নিয়ে দলবেঁধে মাছশিকারে হাজারো সৌখিন মানুষ, যাদের স্থানীয় পরিচিতি বাউত নামে।  

লোকজ রীতিতে রুহুলবিল, ডিকশিরবিল, রামেরবিলসহ নানা জলাশয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে মাছশিকার। 

বাউতরা জানান, কেউ জাল নিয়ে আসছে, কেউ ডুরা নিয়ে, কেউবা ডুরা নিয়ে এসেছে। চাঁদপুর, ভাঙ্গুরা, ঈশ্বরদী, পাবনা, টাঙ্গাইল থেকেও লোক আসে।

বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর নভেম্বরের শেষে অথবা ডিসেম্বরের শুরুতে শনি ও মঙ্গলবার ভোর থেকে মাসজুড়ে চলে বাউত উৎসব। কারো ভাগ্যে মেলে বোয়াল, শোল, রুই, কাতলসহ নানা মাছ আর কেউ ফেরেন খালি হাতে। তবে আনন্দটাই মুখ্য।

তারা জানান, আনন্দটা খুব হয়, সবার ভাগ্যে তো মাছ জুটে না। 

বিল-জলাশয় কমার পাশাপাশি চায়নাজালের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে আগের মতো মিলছে না দেশি মাছ।

বাউতরা জানান, চায়না জালের জন্য মাছের খুব সংকট হয়েছে। আগের মতো আর মাছ হচ্ছে না।

এসবের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর আশ্বাস উপজেলা প্রশাসনের। 

ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান বলেন, “সরকারের নিয়ম-নীতিমালা পর্যালোচনা করে সাধারণ জনগণ গ্রামবাংলার এই ঐতিহ্য বাউত উৎসবের যাতে অংশগ্রহণ করতে পারেন সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

খাল-বিল ও জলাশয় খননসহ মাছের প্রাকৃতিক অভয়াশ্রম গড়ে তোলা হলে রক্ষা পাবে মৎস্য সম্পদের সঙ্গে উৎসবও, এমনটাই মনে করেন বাউতরাও। 

এএইচ