ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

ক্রোয়েশিয়ার স্বপ্ন পূরণের মূল চালিকা শক্তি কী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:২০ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২২ রবিবার

ব্রাজিলের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যাচ সেরা হয়ে গোলরক্ষক ডোমিনিক লিভাকোভিচ হয়তো এই মুহূর্তে প্রশংসা পাচ্ছেন। কিন্তু দলের অভিজ্ঞ মধ্যমাঠই কার্যত ক্রোয়েটদের বিশ্বকাপ জয়ের মিশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।

পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের সাথে ১২০ মিনিট পর্যন্ত ১-১ গোলে ড্রয়ের পিছনে লুকা মড্রিচ, মাতেও কোভাচিচ ও মার্সেলো ব্রোজোভিচের ভূমিকা ছিল অনবদ্য। এই ড্রয়ের পরেই গতবারের রানার্স আপ ক্রোয়েশিয়া টানা দ্বিতীয়বারের মত সেমিফাইনালের টিকিট পেয়েছে। যেখানে পেনাল্টি শুটে অবদান রেখেছেন গোলক্ষক লিভাকোভিচ।

প্রথমার্ধে ব্রাজিল অনেক বেশি আগ্রাসি থাকলেও পজিশনের দিক থেকে দুই দলই সমান তালে লড়েছে। ব্রাজিলের ১১টি শটের বিপরীতে প্রথম ৪৫ মিনিটে ক্রোয়েশিয়া মাত্র একটি শট নিতে সক্ষম হয়েছিল। প্রায় ঘন্টাখানেক যাবত ক্রোয়েশিয়ার মিডফিল্ডাররা ব্রাজিলের আক্রমনভাগের নেইমার, ভিনিসিয়াস জুনিয়র ও রাফিনহাকে বারবার রুখে দিয়েছে। 

কোচ জ্লাটকো ডালিচও দলের মিডফিল্ডের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘আমি অনেকবারই বলেছি ক্রোয়েশিয়ার মিডফিল্ড এই মুহূর্তে বিশ্বসেরা। আমরা বল পাস করতে পারি, ম্যাচের সাথে সাথে বলের নিয়ন্ত্রন নিজেদের করে নিতে পারি শুধুমাত্র মিডফিল্ডোর কল্যানে। ব্রাজিলের সাথেও এই কাজটাই আমরা করেছি। আমাদের মধ্যমাঠ আগোছালো নয়, এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমি বিশ্বস করি আমাদের মধ্য মাঠ দলের সবচেয়ে সেরা অংশ। অভিজ্ঞতার আলোকে তারা প্রতিপক্ষকে রুখে দিয়ে বলের পজিশন নিজের করে নেয়।’

সেল্টিকের রাইট-ব্যাক জোসিপ জুরানোভিচও ব্রাজিলের সাথে জয়ে মূখ্য ভূমিকা পালন করেছেন। জুরানোভিচও কোচের সাথে তাল মিলিয়ে বলেছেন, ‘আমাদের নিজেদের ওপর বিশ্বস আছে। আমি মনে করি এই দলটির মধ্য মাঠ এ পর্যন্ত ক্রোয়েশিয়ার সেরা মিডফিল্ডারদের দিয়ে সাজানো। ব্রোজোভিচ, মড্রিচ ও কোভাচিচ যদি একসাথে থাকে তবে ম্যাচের নিয়ন্ত্রন ৯০ শতাংশ আমাদের পক্ষে হয়ে যায়। আমার বিশ্বাস একারণেই আমরা ব্রাজিলের মত শক্তিশালী দলকে পরাজিত করতে পেরেছি।’

এবারের টুর্নামেন্টে এই তিনজন প্রতিটি ম্যাচে মূল একাদশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। একইসাথে ক্রোয়েশিয়ার রক্ষনভাগ সামলানোর দায়িত্ব পালন করেছে। এ পর্যন্ত ক্রোয়েশিয়া পাঁচ ম্যাচে মাত্র তিনটি গোল হজম করেছে। 

এসি