ঢাকা, বুধবার   ০৯ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২৩ ১৪৩১

রিটার্ন দাখিলের বড় অংশ দেখান না করযোগ্য আয় (ভিডিও)

রাজিব জামান, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪৭ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২২ সোমবার

দেশে করযোগ্য ব্যক্তির সংখ্যা অন্তত ১ কোটি ১৬ লাখ। এরমধ্যে বেশিরভাগই আয়কর রিটার্ন জমা দেন না। আবার যারা রিটার্ন দিচ্ছেন, তাদের বড় একটি অংশ দেখান না করযোগ্য আয়। এমন পরিস্থিতিতে করনীতি, কর-কাঠামো ও কর-ব্যবস্থাপনায় আমূল সংস্কার জরুরি বলছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশপাশি করের বিপরীতে প্রত্যাশিত নাগরিক সেবা নিশ্চিতেরও পরামর্শ তাদের। 

দেশে নিবন্ধিত আয়কর দাতার সংখ্যা প্রায় ৮২ লাখ। তবে ২০২০-২১ অর্থবছরে রিটার্ন জামা পড়ে মাত্র ২৪ লাখ। এরমধ্যে একটি অংশ আবার শূন্য-কর বা রিটার্ন দাখিলের সময় করযোগ্য আয় দেখাননি। 

চলতি অর্থবছরের জাতীয় বাজস্ব বোর্ড এনবিআর ৫০ লাখ রিটার্ন জমার আশা করছে। তবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত রির্টান জমা পড়েছে ২২ লাখ। এমন পরিস্থিতিতে রিটার্ন জমার সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। 

দেশের মোট আয়করের প্রায় ৭৪ শতাংশই আসে ঢাকা থেকে। আর চট্টগ্রামের অবদান প্রায় ১৬ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করদাতা বাড়ানোর পাশাপাশি শূন্য-করদাতার সংখ্যা কমাতে হবে। সাথে রাজস্ব-ব্যবস্থাপনায় সংস্কার জরুরি। 

এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, “আমাদের দেশের অর্থনীতির যে আকার, মানুষের আয়ের যে অবস্থা তাতে ৮০ লাখ কেন আরও বহু লোকের ইটিআইএন হওয়া উচিত। যে ৮০ লাখ ইটিআইএন খুলেছে তা কাগজপত্র দিয়েই খুলেছে, সিস্টেমের ভেতর ঢুকেই খুলেছে। তারা যদি আবার রিটার্ন না দেয় তাহলে তো এই ইটিআইএন খুলে কোনো লাভ হচ্ছে না।”

অনলাইন ব্যবস্থার পাশাপাশি কর দেয়ার পদ্ধতি সহজ করা গেলে মানুষের মধ্যে কর দেয়ার আগ্রহ বাড়বে। এতে অনিয়ম ও হয়রানির অভিযোগও কমবে বলে মনে করছেন এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান। 

ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, “কর স্বয়ংক্রিয় ও স্বপ্রনোদিত হয়ে দেব। মৌলিক সেবাগুলো পাবার জন্যই তো কর দেয়া। সেগুলো যখন না পাই তখন কর দেয়ার ব্যাপারে নিজের ভেতর আগ্রহটা উঠে না।”

দেশে প্রায় ৩৮টি ধরনের সেবা পেতে চলতি অর্থবছর থেকে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।   

এএইচ