পর্যটনের স্থান হতে পারে পাকশির হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এলাকা (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৫৯ এএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার
প্রমত্ত পদ্মার উত্তাল ঢেউ, গোধূলী বেলায় পশ্চিম আকাশের লাল আভা হার্ডিঞ্জ ব্রিজের রক্তবর্ণ গার্ডার ভেদ করে ছড়িয়ে দেয় মুগ্ধতার আবেশ। লালন শাহ্ সেতুর নিয়ন বাতির আলোয় পাকশি তখন অপরূপ।
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এলাকার নৈসর্গিক এই রূপ দেখতে প্রতিদিন অনেকেই ছুটে আসেন এখানে।
১৮৮৯ সালে তৎকালীন অবিভক্ত ভারত সরকার অসম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড ও উত্তরবঙ্গের সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগ সহজ করতে পদ্মা নদীর উপর সেতু নির্মাণের প্রস্তাব করে। পরবর্তীতে ১৯০৮ সালে মঞ্জুরি লাভের পর ব্রিটিশ প্রকৌশলী স্যার রবার্ট গেইলস সেতুটি নির্মাণের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯১৫ সালে সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। তৎকালীন অবিভক্ত ভারতের ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জের নামানুসারে সেতুটির নামকরণ করা হয় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বোমার আঘাতে সেতুটি ১২ নম্বর স্প্যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দেশ স্বাধীনের পরে সেটি মেরামত করা হয়। ২০১৫ সালে শতবর্ষ পূর্ণ করা সেতুটি দিয়ে শুধু ট্রেন চলাচল করে।
কালের সাক্ষী এই রেলসেতুর পাশে যান চলাচলের জন্য তৈরি করা হয়েছে লালন শাহ্ সেতু। প্রমত্ত পদ্মায় পাশাপাশি দুইটি সেতুসহ রূপপুর পারমাণবিক বিদুৎকেন্দ্র আকৃষ্ট করছে মানুষকে। তাই পাকশিতে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি সবার।
এসবি/