ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ডিসেম্বর আসলেই যত্ন বাড়ে স্মৃতিসৌধের (ভিডিও)

মাহমুদ হাসান, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:০২ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার

বছরের পুরোটা জুড়েই অযত্ন-অবহেলায় পড়ে থাকে রায়ের বাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ। ব্যতিক্রম শুধু ডিসেম্বর মাস। শুধু মাসটি আসলেই যত্ন বাড়ে স্মৃতিসৌধের।

একাত্তরে নিশ্চিত পরাজয় জেনে পকিস্তানিরা রাজাকার, আল বদরের সহযোগিতায় দেশের মেধাবী সন্তানদের ধরে নিয়ে হত্যা করে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে। বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতিরক্ষায় তিন দশমিক পাঁচ এক একর জায়গায় নির্মাণ করা হয় এই স্মৃতিসৌধ।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষায় নির্মিত স্থাপনাগুলো বছরের পর বছর পড়ে থাকে অযত্ন-অবহেলায়। বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হলেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের। 

ময়লা আবর্জনা আর নোংরা পানিতে সয়লাব বধ্যভূমির ভেতরের অংশ। প্রাচীরের লোহার গ্রিল ভেঙে যাতায়তের পথ তৈরি করা হয়েছে। দেয়ালের গ্রিল চুরি হয়েছে, স্থাপনার রঙও উঠে গেছে। 

বধ্যভূমির সামনের পাবলিক টয়লেটটিও হয়েছে বেদখল। 

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধের দীর্ঘস্থায়ী সংস্কার দরকার।

ধানমণ্ডি গণপূর্ত উপ-বিভাগের প্রকৌশলী মো. গোলাম কিবরিয়া বলেন, “গ্রীলগুলো চুরি হয়ে যাচ্ছে, এর জন্য দরকার বাউন্ডারি ওয়াল। এটার স্থায়ী সমাধানের জন্য স্থাপত্য অধিদপ্তরে ইতোমধ্যে চিঠি দিয়েছি।”

সংস্কারের দায়িত্ব পাওয়া ঠিকাদার জানান, স্থাপনাটি সংরক্ষণ করতে স্থায়ী সীমানা দেয়াল দেয়া জরুরি।

মেসার্স আফরোজ এন্ড কোংয়ের মুখপাত্র রাকিব ইসলাম মাসুম বলেন, “শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে কাজ করা খুবই চ্যালেঞ্জিং। প্রতিবছর যে ময়লা, বিশৃঙ্খলা হয় মূলত প্রাচীরের কারণে “

বধ্যভূমির পেছনের কবরস্থানের মধ্যদিয়ে যাতায়াত বন্ধ করতে না পারলে স্থাপনাটি আরও ক্ষতির মুখে পড়বে।

এএইচ