ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

সুপেয় পানির দাবিতে সুবর্ণচরে ওয়াটার মার্চ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৩১ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ বুধবার

বাংলাদেশের উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জন্য সুপেয় পানির সর্বজনীন, ন্যায্য ও টেকসই প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করতে সরকারি বরাদ্দ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির সাথে সাথে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার বন্ধ করা, এলাকাভিত্তিক বড় বড় পুকুর, খাল, জলাশয় খনন করে তাতে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করা, খাসজমিতে মিঠা পানির আধার তৈরি করার দাবি জানিয়ে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ওয়াটার মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক মানববাধিকার দিবস উপলক্ষে বুধবার দুপুরে সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে ‘পানি অধিকার মানবাধিকার, উপকূলীয় সকল মানুষের পানি অধিকার নিশ্চিত কর’ এ প্রতিপাদ্যে প্রান, সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা ও একশনএইড বাংলাদেশের আয়োজনে এ কর্মসূচী পালন করা হয়। কর্মসূচীতে পানি সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় লোকজন অংশগ্রহণ করেন।

এসময় বক্তারা, সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম, চর আমান উল্ল্যাহ ইউপি সদস্য মো. সিদ্দিক উল্যাহ, সুবর্ণচর প্রেসক্লাব সেক্রেটারি আবদুল বারী বাবলু সহ বিভিন্ন উন্নয়ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

বক্তারা জানান, পানির অধিকার মানবাধিকারের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। বাংলাদেশে উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর পানি অধিকার সুরক্ষা করা না গেলে অন্যান্য মৌলিক মানবাধিকারও তাতে ক্ষুন্ন হবে। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে পানির সংকট নতুন নয়। বিশেষ করে সমুদ্র তীরবর্তী অবস্থান, সীমিত প্রাকৃতিক সম্পদের অতিরিক্ত এবং অপরিকল্পিত ব্যবহারসহ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত নানা কারণে হুমকির সম্মুখীন উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর পানি অধিকার। একদিকে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চবতা বৃদ্ধির ফলে পানির উৎসগুলোর লবণাক্ততা, অন্যদিকে ভূ-নিম্নস্থ পানির অপরিকল্পিত ব্যবহারে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় অনেক গভীর নলকূপেও পানি উঠছে না।

বক্তারা আরও বলেন, সুপেয় পানির সংকটের কারণে উপকূলের মানুষ অন্যান্য নানা সমস্যায় পড়ছেন। খাবার পানি, রান্নাবান্নাসহ দৈনন্দিন কাজে লবণাক্ত পানি ব্যবহারের ফলে অনেকেই উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। নারীদের ক্ষেত্রে খিঁচুনি, জরায়ুর সমস্যাসহ গর্ভবতী নারীদের বিবিধ ঝুঁকি বাড়ছে। এবছর শীত শুরু সাথে সাথে পানির সংকট আরও ঘনীভুত হওয়া শুরু হয়েছে, মার্চ এপ্রিলে এই সংকট ভয়ংকর রূপ ধারণ করে। তাই উপকূলীয় এলাকায় সুপেয় পানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে জরুরিভাবে কার্যকর ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর সুপেয় পানি সংকটকে জরুরি বিবেচনায় নিতে জন্য নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহ তথা সুপেয় পানি অধিকার নিশ্চিত করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।  
কেআই//