ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৮ ১৪৩১

স্থায়ী বসবাসের জন্য কানাডা যাবেন কীভাবে?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:২০ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার

আপনি কি প্রবাসে স্থায়ীভাবে বসবাসে ইচ্ছুক? তাহলে আপনার জন্যই এই ভিডিওটি। প্রবাসে পাড়ি দেওয়ার আগেই আমরা যাচাই করি কোন দেশে এবং কী ভিসায় আমরা যেতে পারি। এক্ষেত্রে বলে রাখি,  ২০২৫ সালে রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসীকে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ দিবে কানাডা। যেকারণে কানাডা  আপনার জন্য ভালো অপশন হতে পারে। কানাডায় জব ভিসা এবং স্টুডেন্ট ভিসা দুই ভাবেই যেতে পারেন  আপনি। জব ভিসায় যেতে হলে কী করবেন? 

জব ভিসায় যেতে হলে আপনি নয়, সে দেশের চাকরিদাতাকেই এলএমআইএ র জন্য কানাডা সরকারের কাছে আবেদন করতে হবে। 

যিনি বা যেই প্রতিষ্ঠান আপনাকে নিয়োগ দেবেন তারা এলএমআইএ  পেলে তার কপি আপনাকে পাঠাবে। সাথে একটি কাজের অফার লেটার, চাকরির চুক্তিপত্রও তারা পাঠাবে। যা সংযুক্ত করেই আপনি জব ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এজন্য তাদের কোনো টাকা পয়সা দিতে হবেনা। 

এলএমআইএ অনেক সময় টাকা দিয়ে কিনতে পাওয়া যায়। তবে কখনই এই কাজ করনে না। কারণ এটি বেআইনী। এই পথে পা বাড়ালে পরবর্তীতে কানাডায় গিয়ে দেখতে পাবেন কোনো জব পাচ্ছেননা। এতে আপনার সেখানে থাকা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। 

এলএমআইএ পেলে কানাডায় ওয়ার্কিং ভিসা পাওয়া অনেকটাই সহজ হয়অ আর, একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বৈধভাবে কাজ করার সুযোগ পেলে কানাডার পিআর (পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট) এর আবেদন করতে পারবেন। এভাবে একসময় কানাডায় স্থায়ী বসবাসের সুযোগ হয়ে যায়। এলএমআইএ ভিত্তিক ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ সাধারণত দুই বছর। 

এলএমআইএ আবেদন অনুমোদনের ক্ষেত্রে কানাডা কিছু বিষয় বিবেচনা করে। 

যে কোম্পানি আপনাকে চাকরি দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সেই কোম্পানি আদৌ চাকরিতে নিয়োগদানের যোগ্যতা রাখে কিনা, ওই কোম্পানির বিজনেস লাইসেন্স, আর্থিক অবস্থা, কর পরিশোধের ইতিহাস, অতীতে কোন কর্মচারীর সাথে তাদের কোনো ঝামেলা হয়েছে কিনা, যে পদে আপনাকে নিয়োগ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেই পদ আদৌ ওই কোম্পানির কর্মকাণ্ডের সাথে যায় কিনা ইত্যাদি বিষয়। 

আপনাকে যে বেতন অফার করা হবে তা কানাডার শ্রমবাজারের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ কিনা, তাও বিবেচনা করে তারা। 

এছাড়া আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা, ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা, কাজের অভিজ্ঞতা ইত্যাদি চাকরির বিজ্ঞাপনে বর্ণিত পদের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ কিনা তাও যাচাই করে দেখা হয়। 

যে যে ডকুমেন্ট প্রয়োজন
কানাডায় শতকরা মাত্র ৪ দশমিক ৯ ভাগ ফার্স্ট নেশন ছাড়া এ দেশের শতকরা ৯৫ ভাগের বেশি মানুষ ইমিগ্র্যান্ট। অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য কানাডা প্রতিবছর ৩ লাখের ওপর ইমিগ্র্যান্ট পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে এনে থাকে। আজ থেকে ২০–৩০ বছর আগেও কানাডার ইমিগ্রেশন অনেক সহজ ছিল। দিনে দিনে কানাডা ইমিগ্রেশন সিস্টেমকে জটিল করে ফেলছে। কারণ তারা প্রচুর দরখাস্ত পায়, ফলে অনেক যাচাই-বাছাই করে কানাডা বিদেশ থেকে লোক নেয়। আগামী ৩ বছরে যেহেতু ১২ লাখের বেশি লোক কানাডায় আসবেন, তাই আবেদনকারীদের দরখাস্তের আগে ডকুমেন্টগুলো নির্ভুলভাবে জোগাড় করে রাখতে হবে। কানাডার ইমিগ্রেশনের জন্য এখন ইন্টারভিউ হয় না। বিশেষ প্রয়োজনে তারা আপনাকে ই–মেইল করবে কিংবা বড়জোড় ফোন করবে। আপনার ডকুমেন্ট দেখে তারা আপনাকে বুঝে নেবে।

প্রতিবছর লাখ লাখ আবেদন বাতিল হয়ে যায় আবেদনপত্র পূরণের অভাবে এবং প্রকৃত ডকুমেন্ট না করার কারণে। আজ আমরা জানব, একটি আবেদনপত্র করতে হলে কী কী ডকুমেন্ট লাগবে। দুই পর্বে আমরা এসব বিষয়ে জানবে।

নামের বানান
আমাদের দেশে অনেকের নামের বানান একেক জায়গায় একেক ধরনের থাকে। তেমনি আমাদের নামের বানানে অনেক অসঙ্গতি থাকে। কারও নামের শুরুতে এক জায়গায় শুধু মো. থাকে, আবার অন্য জায়গায় মোহাম্মদ থাকে, আবার কোথাও মুহাম্মদ থাকে। সব ডকুমেন্টে একই ধরনের বানান থাকা উচিত, তা না হলে আপনার আবেদনপত্র বাতিল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। শুধু নিজের নাম নয়, মা–বাবার নামের বানানও সব জায়গায় এক রকম থাকা জরুরি।

পারসোনাল ইনফরমেশন ডকুমেন্ট
যিনি আবেদন করবেন, তার এবং তার সঙ্গে যিনি যাবেন স্পাউস হিসাবে তারও মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট এবং আবেদনপ্রক্রিয়া চলার সময় কমপক্ষে ছয় মাস পাসপোর্টের মেয়াদ থাকতে হবে। আবেদনপ্রক্রিয়া চলার মধ্যে মেয়াদ শেষ হওয়ার কমপক্ষে ছয় মাস আগে পাসপোর্ট নবায়ন করে নিতে হবে। আবেদনকারী এবং তার স্পাউসের জন্মনিবন্ধন থাকতে হবে। জন্মনিবন্ধন হতে হবে সরকার প্রদত্ত প্রকৃত জন্মনিবন্ধন। ১৮ বছরের ওপরের সবার ভোটার আইডি কার্ড অথবা ন্যাশনাল আইডি কার্ড থাকতে হবে। বিবাহিতদের জন্য ম্যারেজ সার্টিফিকেট থাকতে হবে। বাংলাদেশে এ দুটি ডকুমেন্ট এখনো বাংলায় ইস্যু করা হয়। তবে যে কাজি আপনাকে বিয়ে পড়িয়েছেন, তার কাছে আপনি যদি আপনার বাংলা ডকুমেন্ট নিয়ে যান, তবে তিনি একটি নির্দিষ্ট ফির বিনিময়ে তা ইংরেজিতে অনুবাদ করে দেবেন।

শিক্ষাগত ও ভাষাগত যোগ্যতা
প্রতিটি শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র ক্রিডেনশিয়াল করতে হবে। অর্থাৎ আপনি যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করেছেন, তার মান কানাডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডে কতটুকু, তা তারা দেখে নেবে। আর এ ক্রিডেনশিয়াল করার গাইডলাইন কানাডার ইমিগ্রেশনের সরকারি ওয়েবসাইটে (http://www.cic.gc.ca/) দেওয়া আছে। আইইএলটিএস স্কোরের সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। স্টুডেন্ট ভিসা ছাড়া অন্য সব ভিসার জন্য আপনাকে ‘জেনারেল’ আইইএলটিএস দিতে হবে।

সেটেলমেন্ট ফান্ড
ভিসার জন্য আপনাকে ব্যাংকে সেটেলমেন্ট ফান্ড দেখাতে হবে। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে টাকার পরিমাণের ভিন্নতা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে ওরা যে টাকার পরিমাণের কথা আপনাকে বলবে, সেই পরিমাণ টাকা ক্যাশ আকারে ব্যাংকে থাকা ভালো। এ টাকা বিভিন্নভাবে থাকতে পারে। যেমন ফিক্সড ডিপোজিট, সঞ্চয়পত্র, চলতি হিসাব, প্রভিডেন্ট ফান্ড, শেয়ারবাজার ইত্যাদি। বাড়তি হিসেবে আপনাদের সোনা-গহনা, নিজ নামে বা স্পাউসের নামে সম্পত্তি থাকলে তা দেখাতে পারেন। শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে তাদের মাতা–পিতার টাকা এবং সম্পত্তি দেখালেও হবে।

দেশে কাজের অভিজ্ঞতা 
কানাডায় আবেদনের ক্ষেত্রে ওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ ক্ষেত্রে কোনো মিথ্যার আশ্রয় নেবেন না। যেমন আপনার বা আপনার স্পাউসের যদি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পাঁচ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকে, তবে প্রতিটির জন্য আলাদা আলাদা অভিজ্ঞতার সনদপত্র জোগাড় করতে হবে। 

যিনি আপনাকে এ সনদপত্র প্রদান করবেন, তার নাম, পদবি, স্বাক্ষর, ঠিকানা, ফোন নম্বর এবং ই-মেইল অ্যাড্রেস থাকতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে কানাডার ইমিগ্রেশন বিভাগ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। তাই যাদের কাছ থেকে অভিজ্ঞতার সনদপত্র আনবেন, তাদের জানিয়ে রাখবেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা যেন আপনার অভিজ্ঞতাপত্রে যা লিখেছেন, তা বলতে পারেন।

মনে রাখবেন, কানাডিয়ান ইমিগ্রেশনের সিঙ্গাপুর অফিস থেকে আপনার চাকরির ব্যাপারে অধিকাংশ সময়ই খোঁজখবর নেবেন। বেশ কিছু ক্ষেত্রে সিঙ্গাপুর থেকে সশরীর এসে অফিস দেখে যায় এবং আপনার উপস্থিতি তারা কামনা করে।
এ ছাড়া আবেদনপত্র পুরো করতে এগুলো বাদে আর কী কী ডকুমেন্ট লাগবে বা কী কী করতে হবে—

এক্সপ্রেস অব ইন্টারেস্ট
অনেক ক্ষেত্রে কেন কানাডায় অভিবাসনের ক্ষেত্রে আপনি যোগ্য এ ধরনের একটি এক পাতার চিঠি ডকুমেন্ট হিসেবে আপনাকে পাঠাতে হতে পারে, যা এক্সপ্রেস অব ইন্টারেস্ট নামে পরিচিত। ওই চিঠিটা লেখার আগে কানাডার জব মার্কেট সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে লিখবেন। আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশের কাজের ওপর ভিত্তি করে কানাডার জব মার্কেটে আপনি কী অবদান রাখতে পারেন, তা ওই চিঠিতে ফোকাস করবেন। এ চিঠি লেখার ব্যাপারে আপনার যদি পর্যাপ্ত কনফিডেন্স না থাকে, তবে এ বিষয়ে যারা দক্ষ, তাদের সাহায্য নিয়ে এ চিঠিটা লিখতে পারেন। তা ছাড়া ইউটিউব বা গুগলে সার্চ দিলে এ বিষয়ে অনেক সাহায্য পাবেন।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিতে হয়। সে ক্ষেত্রে আপনার লোকাল থানার মাধ্যমে দরখাস্ত করতে হয়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কানাডিয়ান সরকারি ওয়েবসাইটে (http://www.cic.gc.ca/) এ–সংক্রান্ত গাইডলাইন দেওয়া আছে, তা অনুসরণ করবেন। কোনো ক্রিমিনাল অফেন্স থাকলে আপনার আবেদন বাতিল হয়ে যেতে পারে।

কেমন হতে হবে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া
আপনার ফেসবুক এবং অন্য সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কানাডার ইমিগ্রেশন বিভাগ ঘাঁটাঘাঁটি করে দেখবে। সে ক্ষেত্রে আপনার দেওয়া তথ্যগুলোর সঙ্গে আপনার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রোফাইলের পার্সোনাল ইনফরমেশনগুলোর মিল অবশ্যই থাকতে হবে। সামাজিক মাধ্যমে কোনো ভায়োলেন্স, শিশু নির্যাতন, কোনো বর্ণবাদী স্ট্যাটাস বা এই ধরনের কিছু শেয়ার করবেন না।

অন্যান্য ডকুমেন্ট
অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব কাগজ স্ক্যান করে পাঠাতে হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নোটারি করার প্রয়োজন হতে পারে। প্রকৃত নোটারিয়ান দিয়ে নোটারি করতে হবে। মিথ্যা কাগজ বানিয়ে দেবেন না। কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন বিভাগ কোনো না কোনোভাবে আপনার এসব ডকুমেন্টের সত্যতা খুঁজে বের করবেই। ছোট একটি উদহারণ দিই, আপনি দেখালেন কোনো একটি জায়গায় চাকরি করেন, কানাডার ইমিগ্রেশন বিভাগ যখন আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখবে, তখন আপনার ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে যদি আপনার নিজস্ব অ্যাকাউন্টে বেতনের টাকা প্রতি মাসে না যায়, তাহলে ওরা বুঝে নিতে পারে আপনি সেখানে কাজ করেন না।

স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চাইলে কী করবেন? 
স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে হলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যোগ্যতা হল আপনার IELTS স্কোর। আপনার স্কোর যদি ৬ পয়েন্ট থাকে তাহলে আপনি আবেদন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে আপনাকে সাধারণ নয় একাডেমিক  আইইএলটিএস পরীক্ষা দিতে হবে। এটি তুলনামূলক কঠিন। 

তবে সবথেকে কম খরচে যেতে চাইলে স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে হবে। কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আপনার ন্যূনতম ৫ লক্ষ টাকা লাগবে। আর জব ভিসায় গেলে লাগবে ৭ লক্ষ টাকা প্রায়। স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আপনি সর্বোচ্চ ৪ বছর মেয়াদ দিতে পারবেন। 

কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আপনাকে প্রথমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এ জন্য কানাডার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে। সিটিজেনশীপ এন্ড ইমিগ্রেশন কানাডা ওয়েবসাইটে প্রথমে আবেদন করতে হবে। এছাড়াও আপনি চাইলে কানাডা এজেন্সির কাছে আবেদন করতে পারেন।

কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসার জন্য যা লাগবে: 
একাডেমিক আইএলটিএস এ ৬ স্কোর লাগবে। অনলাইন জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রের সনদ। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশংসাপত্র। 

কানাডায় যে বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনি স্টাডি করতে ইচ্ছুক সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন পত্র।

কানাডায় থাকা খাওয়া ও পড়াশোনা বহন করার অর্থ আছে কিনা, তার প্রমাণস্বরূপ কাগজপত্র।

কোন প্রকার সন্ত্রাস অথবা মামলার সাথে জড়িত থাকা যাবে না।

আপনার শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা প্রমাণ করার জন্য মেডিকেল সার্টিফিকেট।

কানাডার যে ইউনিভার্সিটি বা কলেজে আপনি পড়তে চান তার অ্যাডমিশন লেটার বা এক্সেপট্যান্স লেটার। সব শিক্ষা সনদ ও নম্বরপত্র, জন্ম সনদ, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট, টিউশন ফি পেমেন্ট রিসিট, ব্যাংক স্পন্সর লেটার ও স্পন্সর ব্যক্তির আয়ের উৎস ইত্যাদি সব কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে। এরপর ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। 

মনে রাখবেন, আগামী ৩ বছর যে ১২ লাখ লোক নেবে, তার জন্য পৃথিবীর প্রায় সব দেশের মানুষ আবেদন করবেন। আর এই দৌড়ে টিকে থাকতে হলে আপনাকে সঠিক ডকুমেন্ট প্রদান করতে হবে এবং আবেদনপত্রের ফর্ম একেবারে নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে। কানাডার সরকারি ওয়েবসাইটে সবকিছু দেওয়া আছে। নিজে পড়ে বুঝে নিজেই আবেদন করুন।

এসবি/