‘আশা করি, বিশ্বকাপ জিততে পারবো’
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:৫৬ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ শনিবার
লিওনেল স্কালোনি ও মেসি
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। সমর্থকদেরই যে আর তর সইছে না! খেলোয়াড়দের শিরদাড়া দিয়ে যেন রোমাঞ্চের স্রোত বয়ে যাচ্ছে। মুহূর্তগুলো উপভোগ করাই শ্রেয়! কেননা, একদিন পরই তা অতীতে পরিণত হবে।
এমনটাই জানালেন আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি।
বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ বারবার আসে না। আর্জেন্টিনাকেই ধরা যাক, ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ের পর দুইবার ফাইনাল খেলেছে তারা। দুইবারই ফিরতে হয়েছে খালি হাতে।
এবার আরও একটা ফাইনালের মঞ্চে দাঁড়িয়ে আলবিসেলেস্তেরা। সামনে বাধা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। কোচ স্কালোনি অবশ্য আশা করছেন, এবার বিশ্বকাপ উঁচিয়ে ধরতে পারবে আর্জেন্টিনা।
ফ্রান্সকে ধরাশায়ী করতে পরিষ্কার ছক কষে রেখেছেন স্কালোনি। এবার শুধু মাঠে তা প্রয়োগ করবার পালা।
ফাইনালপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে মেসিদের কোচ বলেন, ‘ম্যাচ শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত এই মুহূর্তগুলো আমাদের উপভোগ করতে হবে। এ সব কিছুই ইতিহাস হয়ে থাকবে। আশা করি বিশ্বকাপ জিততে পারবো, এটা সত্যিই অসাধারণ হবে। আমরা জানি, কীভাবে তাদের আক্রমণ করতে হয়। এ নিয়ে পরিষ্কার পরিকল্পনা আছে আমাদের। আমরা জানি, প্রতিপক্ষকে কোথায় আঘাত করতে হবে।’
আর্জেন্টিনার যেমন একজন লিওনেল মেসি আছেন, তেমনি ফ্রান্সের সেরা তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। বিশ্বকাপে নিজেদের ছাড়িয়ে গেছেন এবার। সমান পাঁচ গোল করে গোল্ডেন বুট জয়ের দৌড়ে আছেন শীর্ষে, গোল্ডেন বলেরও সমান দাবিদার দুজনেই।
তাই রোববার রাতে মেসি ও এমবাপ্পের মধ্যে দারুণ এক লড়াই দেখার অপেক্ষায় আছেন ফুটবল ভক্তরা। তবে ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ডকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে বাকিদের অবমূল্যায়িত করতে চান না স্কালোনি।
আর্জেন্টিনা কোচ বলেন, ‘কাজটা যতটা না ব্যক্তিগত, তার চেয়েও বেশি দলগত। যদিও এমবাপ্পে একজন ভালো খেলোয়াড়। ফ্রান্সের আরও খেলোয়াড়র আছেন, যারা তাকে আরও ভালো করতে সাহায্য করেন। সে এখনও তরুণ এবং উন্নতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।’
স্কালোনি বলেন, ‘কালকের ম্যাচটা আর্জেন্টিনা-ফ্রান্সের, যা মেসি ও এমবাপ্পে দ্বৈরথের চেয়েও বড়। আমাদের দুই দলেরই প্রয়োজনীয় অস্ত্র আছে। তাই শুধু তারা দু’জন নয়, বাকি খেলোয়াড়রাও ম্যাচে নির্ণায়কের ভূমিকা রাখতে পারে।’
সময়ের সেরা দল নিয়ে কাতার এসেছিলো আর্জেন্টিনা। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই সৌদি আরবের কাছে ২-১ গোলে হেরে বড় ধাক্কা খায় তারা। এরপরই অবশ্য দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় দলটি। তাতে খেলোয়াড়দের দৃঢ় মনোবলের প্রশংসা করেন স্কালোনি।
তিনি বলেন, ‘প্রথম দিন থেকে আমরা মনে ধারণ করে নিয়েছি যে, আর্জেন্টিনা দল হবে সবার জন্য। যেকোনো ফুটবলারকে এই জার্সি পরার সুযোগ করে দেওয়া হবে। চার বছর ধরে আমরা সেটাই করে আসছি। আমরা দুর্দান্ত একটি দল তৈরি করেছি, যারা কিনা এই জার্সির জন্য নিজের জীবন দিতে পারে। যেই খেলুক না কেন, তারা নিজেদের সর্বোচ্চটা দেয়।’
এদিকে, রোববার তথা ১৮ ডিসেম্বরের পর আবারও চার বছরের জন্য বিদায় নেবে বিশ্বকাপ। জীবনের ক্লান্তি দূরে ঠেলে প্রায় মাসখানেক সময় অনেকেই আনন্দে কাটিয়েছেন, সেটা শুধুমাত্র বিশ্বকাপের কারণেই। আর্জেন্টিনার মতো দেশে তো ফুটবল খেলার চেয়েও অনেক বড় কিছু।
স্কালোনি বলেন, ‘ফুটবল হলো একটি খেলা, তবে আর্জেন্টিনায় এটা খেলার চেয়েও বেশি কিছু। বিশ্বকাপের সময় মানুষের খুশি থাকার ব্যাপারটি চমৎকার লাগে আমার। আমরা মানুষ এবং এসব বিষয় আমাদের রোমাঞ্চিত করে।’
এনএস//