‘একটি শোষণমুক্ত বিশ্ব দেখতে চেয়েছিলেন কমরেড মুজফ্ফর’
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:১৫ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ রবিবার | আপডেট: ০৬:২৮ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ রবিবার
বিশ্ববরেণ্য বিপ্লবী রাজনীতিবিদ, ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও কমিউনিষ্ট আন্দোলনের কিংবদন্তি নেতৃত্ব কমরেড মুজফ্ফর আহমদের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। অনন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ত্ব, মানবিক রাজনীতির অমর মানুষ কমরেড মুজফ্ফর আহমদের স্মৃতির প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। ভারতীয় উপমহাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের তাঁর উত্তরসূরী নেতৃবৃন্দ তাঁকে ‘কাকাবাবু’ বলেই ডাকতেন। এই নামেই তিনি বেশ সুপরিচিতিও পেয়েছিলেন।
১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দের ৫ আগস্ট কমরেড মুজফ্ফর আহমদ চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপের মুসাপুর গ্রামে এক দরিদ্র কিন্তু অভিজাত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মনসুর আলি এবং মায়ের নাম চুনাবিবি। চুনাবিবি তার বাবার দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন। মনসুর আলি সন্দ্বীপের এক স্বল্প আয়ের মোক্তার ছিলেন। তার দাদা আর নানার নাম ছিল মুহম্মদ কায়েম ও রেশাদ আলী ঠাকুর।
কমরেড মুজফ্ফর আহমদ ১৯৭৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন। সব দিক দিয়েই একজন পরিপূর্ণ, অনুকরণীয় অনন্য সংগ্রামী মানুষ ছিলেন কমরেড মুজফ্ফর আহমদ। আবার আমাদের প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতির সাথেও তিনি জড়িয়ে আছেন গভীরভাবে। তিনি আজীবন মানুষের কল্যাণের জন্যে রাজনীতি করে গেছেন। যুক্তি ও বিচার-বিশ্লেষণী মানুষ ছিলেন তিনি। কুসংস্কারমুক্ত মন ছিলো তাঁর।
ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সংগঠক কমরেড মুজফ্ফর আহমদ বিশ্বাস করতেন যে, মানসিক উদারতার জন্য সংবাদপত্র ও বাকস্বাধীনতা এবং নতুন ধ্যান-ধারণায় উৎসাহ প্রদানে অভিজ্ঞতার আদান-প্রদান অত্যন্ত জরুরি। তিনি প্রেস, সংবাদপত্র ও গ্রন্থের বিষয়ে ছিলেন অত্যন্ত সাবধানী এবং এতে ছিল তাঁর অগাধ ভালবাসা। ন্যাশনাল বুক এজেন্সি এবং গণশক্তি প্রেস তাঁরই সৃষ্টি। তাঁর বিভিন্ন বিষয়ের উপর লেখা অসংখ্য প্রবন্ধ বিভিন্ন জার্নাল ও ম্যাগাজিনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
কৃষকদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে তাঁর লেখা এবং তাঁর গ্রন্থ ‘Communist Party of India: Years of Formation 1921-1933’ এবং ‘Myself
and the Communist Party of India’ সমসাময়িক রাজনীতি সম্বন্ধে আলোকপাত করে। কমরেড মুজফ্ফর আহমদের কিছু কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সবারই দৃষ্টি আকর্ষণ করে। শ্রমিক শ্রেণির আন্তর্জাতিকতার প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগ, গণতন্ত্রের প্রতি দৃঢ় প্রত্যয়, নারীর সম-অধিকারের প্রতি তীব্র আগ্রহ সব মিলিয়ে তাঁকে একজন মহান বিপ্লবীতে পরিণত করে। পার্টি ব্যবস্থাপনা, গণআন্দোলন, নির্বাচনের টানাপোড়ন ইত্যাদি সম্বন্ধে ছিল তাঁর পরিষ্কার ধারণা।
তিনি মার্কস ও লেনিনের রচনাবলী ও কর্মজীবন সম্পর্কে বিশদভাবে জানতেন এবং দেশে প্রচলিত আইন ও নিয়ম-কানুন সম্পর্কে সম্যকভাবে অবহিত ছিলেন। তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় খুঁটিনাটি সমস্ত নিয়মই অনুসরণ করতেন এবং ১৯৩৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত সব নির্বাচনেই সক্রিয় নেতৃত্ব প্রদান করেন। তিনি ছিলেন শ্রমিক শ্রেণির আর্ন্তজাতিকতাবাদের অনুসারী। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন নিয়ে তিনি গর্ব করতেন। আমাদের জাতীয় কবিকে জানতে কমরেড মুজফ্ফর আহমদের ‘কাজী নজরুল ইসলাম: স্মৃতি কথা’ একটি আকর গ্রন্থ।’দৈনিক গণশক্তি’ (১৯৬৬) প্রকাশে তাঁর অবদান স্মরণীয়। কমরেড মুজফ্ফর আহমদের গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ ‘আমার জীবন ও ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি’ (১ম খণ্ড ১৯৬৯, ২য় খণ্ড ১৯৭২)।
রাজনীতিকেই জীবনের পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন কমরেড মুজফ্ফর আহমদ। তিনি লিখেছেন, ‘আমার জীবনের পেশা কি হবে,- সাহিত্য, না, রাজনীতি এই নিয়ে আমি পুরো ১৯১৯ সাল ভেবেছি। সত্য কথা বলতে, আমার মনের ভিতরে সাহিত্য ও রাজনীতির দ্বন্দ্ব চলেছিল। কবি আমি ছিলেম না। গল্প লেখক বা ঔপন্যাসিক হওয়ার স্বপ্ন আমি কোনোদিন দেখিনি। সেই ভাষা কোনদিন আমার আয়ত্তে ছিল না। আমার প্রবল বাসনা ছিল যে আমি একজন প্রবন্ধকার হব। আমার পরবর্তী জীবনেও, অর্থাৎ রাজনীতিক জীবনে তা হওয়ার পথে কোনো প্রতিবন্ধক ছিল বলে আমার মনে হয় না। তবুও আমি প্রবন্ধকারও হতে পারিনি, যদিও আমি খবরের কাগজ চালিয়েছি। আমার মনে যে সাহিত্য ও রাজনীতির দ্বন্দ্ব চলেছিল তাতে শেষ পর্যন্ত জয় হলো রাজনীতির। একটা কিছুতে নিজেকে যে বিলিয়ে দেব সে তো আগেই স্থির করেছিলাম। সেইজন্যই তো আমি ‘বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতি’র সব সময়ের কর্মী হতে পেরেছিলাম। ১৯২০ সালের শুরুতে আমি স্থির করে ফেললাম যে রাজনীতিই হবে আমার জীবনের পেশা। আমি রাজনীতিক সভা-সমিতি ও মিছিলে যোগ দেওয়া শুরু করেছিলাম তো ১৯১৬ সাল হতে”। (‘আমার জীবন ও ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি’-কমরেড মুজফ্ফর আহমদ, পৃষ্ঠা-৩৯)।
পারিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় কৈশোরে মুজফ্ফর আহমদকে বাবার চাষাবাদের কাজে সাহায্য করতে হয়েছিলো। তার পিতার পেশা মোক্তারি হলেও তার পরিবার ছিলো মূলত কৃষি ভিত্তিক। মুজফফর আহমদ তার শিক্ষা জীবন শুরু করেন বাংলা ভাষা শিক্ষার মধ্য দিয়ে। তিনি ১৮৯৭ সালে গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৮৯৯ সালে তিনি হরিশপুর মিডল ইংলিশ স্কুলে (পরে কাগিল হাইস্কুল) ভর্তি হন। পিতার মোক্তারি ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর স্কুল থেকে তার নাম কেটে দেওয়া হয়।
ওই সময় মাদ্রাসা শিক্ষা অবৈতনিক হওয়ায় তিনি মাদ্রাসায় লেখাপড়া শুরু করেন। ১৯০৫ সালে পিতার মৃত্যুর সময় তিনি নোয়াখালীর বামনী মাদ্রাসায় পড়ছিলেন। পিতার মৃত্যুর পর মুজফ্ফর আহমদ কিছুদিন বরিশালে গৃহশিক্ষকতা করেন। এরপর তিনি পুনরায় গ্রামে ফিরে আসেন এবং স্কুলে ভর্তি হন। বহির্মুখি মুজফ্ফর আহমদকে গৃহমুখী করার উদ্দেশ্যে পারিবারিক চাপ প্রয়োগে ১৯০৭ সালে তাকে বিয়ে করতে হয়। তার স্ত্রীর নাম হাফেজা খাতুন।
১৯১০ সালে তিনি কাগিল হাইস্কুল ছেড়ে নোয়াখালী জেলা স্কুলে চলে যান। ১৯১৩ সালে সেখান থেকে মেট্রিকুলেশন পাশ করেন তিনি। ১৯১৩ সালে পশ্চিম বঙ্গের হুগলি কলেজে ভর্তি হন, কিন্তু সেখানে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় তিনি সে বছরই বঙ্গবাসী কলেজে চলে যান। এ কলেজ থেকে আই এ পরীক্ষা দিয়ে অকৃতকার্য হন এবং সেখানেই তার লেখাপড়ার ইতি ঘটে। ১৯১৩ থেকেই তিনি কলকাতার অধিবাসী হন।
সন্দ্বীপের কাগিল হাইস্কুলে পড়ার সময়ই মুজফ্ফর আহমদের সাংবাদিকতায় হাতে খড়ি হয়। মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামবাদী সম্পাদিত ‘সাপ্তাহিক সুলতান’ পত্রিকায় সন্দ্বীপের স্থানীয় খবর পাঠাতেন।
১৯১১ সালে কলকাতায় অবস্থানরত বিভিন্ন মুসলিম ছাত্রের উদ্যোগে বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য সমিতি গঠিত হয়। কলকাতার ৩২ কলেজ স্ট্রিটে এ সাহিত্য সমিতির অফিস ছিল। ১৯১৮ সালে সমিতির উদ্যোগে বের হয় ‘বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য পত্রিকা’। ১৯১৮ সালে সমিতির সব সময়ের কর্মী হিসেবে তিনি এর অফিসেই থাকা শুরু করেন। তিনি ছিলেন সমিতির সহকারী সম্পাদক। পত্রিকার কাজ পরিচালনার সময় চিঠিপত্রের মাধ্যমে তার কবি কাজী নজরুল ইসলামের সাথে পরিচয় হয়। ১৯২০ সালের শুরুর দিকে ৪৯ নম্বর বেঙ্গল রেজিমেন্ট ভেঙ্গে দেওয়া হলে নজরুলের সৈনিক জীবনের অবসান ঘটে এবং তিনি কলকাতায় মুজফ্ফর আহমদের সাথে সাহিত্য সমিতির অফিসে থাকতে শুরু করলেন।
সক্রিয় রাজনীতিতে যোগদানের পূর্বে মুজফ্ফর আহমদ কিছুদিন চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন। বাংলা সরকারের ছাপাখানায় মাসিক ত্রিশ টাকা বেতনে তিনি চাকুরি করেছিলেন। বাংলা সরকারের অনুবাদ বিভাগেও তিনি মাসিক পঞ্চাশ টাকা বেতনে একমাস উর্দু থেকে বাংলায় অনুবাদ করার কাজে চাকুরি করেন। একমাস তিনি প্রেসিডেন্সী বিভাগের স্কুলসমূহের ইনস্পেক্টর হিসেবে কাজও করেন। কলেজে পড়ার সময় খিদিরপুর জুনিয়র মাদ্রাসায় তিনি শিক্ষকতা করেন আর একমাস ছুটিতে তিনি কলকাতা সিটি কর্পোরেশনে কাজ করেন তিনি।
কৈশোরে সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ না করলেও ১৯১৬ সাল থেকে মুজফ্ফর আহমদ বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক আলোচনা,সভা-সেমিনার-মিছিল যোগদান প্রভৃতি শুরু করেন। ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কলকাতার অনুষ্ঠিত আন্দোলনে তিনি অংশগ্রহণ করেন। ১৯২০ সালে বঙ্গীয় খেলাফত কমিটির সদস্য মনোনিত হলেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।
১৯২০ সালের শুরুতে তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে রাজনীতিই হবে তার জীবনের মূল পেশা। তিনি কাজী নজরুলের সাথে ঠিক করেন একটি ভিন্ন ধর্মী বাংলা দৈনিক বের করার। এ বিষয়ে তারা ফজলুল হক সাহেবের (পরবর্তীতে শেরে বাংলা) সাথে দেখা করেন। হক সাহেব তার নিজের টাকায় পত্রিকা বের করার প্রস্তাব করেন।
১৯২০ সালের ১২ জুলাই মুজফ্ফর আহমদ ও কাজী নজরুল ইসলামের যুগ্ম সম্পাদনায় ‘নবযুগ’ নামক সান্ধ্য পত্রিকা বের করেন। তিনি রাজনীতি করতে যেয়ে অনেক জেল জুলুমের শিকার হয়েছেন। মাঝে মাঝে আত্মগোপনে থাকতে হতো তাকে। এই জন্য তিনি নিজেকে ‘কাকা বাবু’ নামে পরিচয় দিতেন। সে থেকে শহর কলকাতা তাকে ‘কাকা বাবু’ নামেই এক নামেই তিনি পরিচিত হয়ে উঠলেন।
মুজফ্ফর আহমদের ছাত্রাবস্থায় বাংলায় সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনের শুরু হয়। এ সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, সন্ত্রাসবাদী আন্দোলন শুধু হিন্দু আন্দোলন ছিল না, আসলে তা ছিল বর্ণ হিন্দুদের আন্দোলন। তার মতে, এক ধরনের রোমাঞ্চের জন্য শিক্ষিত যুবকেরা এতে অংশ নিলেও এর পিছনে ছিল একটা গভীর নৈরাশ্য। যদিও তিনি এই আন্দোলনের জন্য জীবন উৎসর্গকারীদের শ্রদ্ধা করতেন। অন্যদিকে মুসলীম লীগ ও কংগ্রেসকে তিনি ধনীক শ্রেণীর স্বার্থে ধনী শ্রেণীর রাজনৈতিক দল বলে মনে করতেন। কংগ্রেসের ঘোষণা পত্রে ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বলা
থাকলেও এ দল ধীরে ধীরে হিন্দু জাতীয়তাবাদের বিশ্বাসী নেতাদের কর্তৃত্বাধীন হয়ে পড়ে। মুসলিম লীগের অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে অসাম্প্রদায়িক হলেও ধর্মকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করতেন। মূলত ভারতীয় উপ-মহাদেশের রাজনীতিতে হিন্দু সুবিধাভোগী শ্রেণীর একাধিপত্যকে রোধ করার জন্যই মুসলিম সুবিধাভোগী ও রাজনৈতিক দল মুসলিম লীগের জন্ম হয়।
১৯১৭ সালে রাশিয়ায় ‘জার’ শাসনের অবসান ঘটে এবং লেনিন-স্টালিনের নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক অভ্যুত্থান সফলতা লাভ করে। রাশিয়াতে পৃথিবীর প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠিত হয়। এর ঢেউ খুব দ্রুত অন্য সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। রুশ বিপ্লবের সাফল্য তাকে উদ্দীপ্ত করে। ১৯২১ সালে থেকে তিনি মার্কসবাদ চর্চা ও মার্কসবাদী রাজনীতিতে আত্মনিয়োগ করেন। তৎকালীন ভারতেও ব্যতিক্রম হয়নি।
১৯২০ সালের ১৭ অক্টোবর তারিখে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অঙ্গরাজ্য উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে ভারতের সর্বপ্রথম সমাজতান্ত্রিক দল গঠিত হয়। গঠন করেছিলেন বাঙালি নেতা মানবেন্দ্র নাথ রায়। এর মাত্র একমাসের মধ্যে বঙ্গদেশেও সমাজতান্ত্রিক দল গঠিত হয়। এই সংগঠনের পুরোধা ছিলেন মুজফ্ফর আহমদ। অর্থাৎ বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন তার হাত ধরেই যাত্রা শুরু করে।
সারা জীবন তিনি শোষিত মানুষের পক্ষে জয়গান গেয়েছেন। এ জন্য তাঁকে জেল-জুলুম নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছিল। ১৯৭৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই সাম্যবাদী নেতা পরলোক গমন করেন। তাঁকে হারানোর ৪৯ বছর কেটে গেছে অথচ আজও নিপীড়িত শোষিত মানুষের ক্রন্দন থামেনি। সমাজের মেহমতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি আজীবন লড়াই করে গেছেন। এই মহৎ প্রাণের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
লেখক-গণমাধ্যমকর্মী।