‘ভারতের সহযোগিতা ছাড়া ৯ মাসে দেশ স্বাধীন হতো না’
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:১৬ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ সোমবার
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, প্রতিবেশী দেশ ভারত যদি মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সহযোগিতা না করতো, তাহলে মাত্র ৯ মাসে আমরা স্বাধীনতা পেতাম না। সে জন্য ভারতের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। মুজিবনগর সরকারকে রাষ্ট্র পরিচালনার কাজ পরিচালনার জন্য ভারতের ৮ নম্বর থিয়েটার রোড থেকে পরিচালনার সুযোগ করে দিয়েছিল ভারত। এর জন্যও আমরা দেশটির প্রতি কৃতজ্ঞ।
রোববার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট অডিটোরিয়ামে মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কেন্দ্রীয় সংসদ আয়োজিত ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সহযোগিতায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশরা ভারত ভেঙে দুই ভাগ করেছিল। তখন দুই জাতি সত্তার ভিত্তিতে দেশ ভাগ হয়। কিন্তু পাকিস্তানিরা শুরু থেকেই আামদের ওপর নির্যাতন-জুলুম শুরু করে। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে জয়লাভের পরও ঠুনকো অজুহাতে আদমজি জুট মিল দাঙ্গা লাগিয়ে দিয়েছিল। তখন বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধু ছয় দফা দেন। তার জন্য বঙ্গবন্ধুকে জেলে যেতে হয়। ১৯৬৯ সালের ৭ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জিতলেও আমাদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি পাকিস্তানিরা। কারণ, তারা বাঙালিদের হাতে ক্ষমতা ছাড়তে চায়নি। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্যেই ছিল মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা। পরে ২৬ মার্চ আসে স্বাধীনতার মূল ঘোষণা, আমরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ি।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের মিত্র বাহিনীর যেসব সদস্য জীবন দিয়েছিলেন তাদের স্মৃতির জন্য আশুগঞ্জে একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করছি। যার উদ্বোধন করেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের সঙ্গে পানি সমস্যা এখনও বিদ্যমান। আমরা আশা করি কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে পানি সমস্যার সমাধান হবে এবং এর মাধ্যমে দুই দেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর হবে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, মিত্র বাহিনীর সদস্যদের সন্তানদের জন্য মুজিব স্কলারশিপ দেওয়া হবে। আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের বিনা পয়সায় ভারত চিকিৎসা দিয়ে থাকে।
অনুষ্ঠানে সভাপত্বি করেন স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র রচয়িতা সংবিধান প্রণেতা ব্যারিষ্টার আমির-উল ইসলাম। অনুষ্ঠানে ভারত থেকে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের মিত্র বাহিনী সদস্য সন্তানদের মধ্য থেকে উপস্থিত ছিলেন- জয়দ্বীপ মুখার্জি, ড. মানস ব্যানার্জি, কবি বিশ্বনাথ লাহা, সুপর্ণা ব্যানার্জি, সুরুজ দাস, উপাসনা ব্যানার্জি। এছাড়া অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সম্পাদকমণ্ডলীর সাবেক সদস্য ফজলে আলী, ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল কাদের, মুক্তিযোদ্ধা ড. আব্দুল বাতেন, ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর প্রমুখ।
মূল বক্তব্য ও প্রবন্ধ উপস্থাপান করেন মুক্তযুদ্ধ প্রজন্ম কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ও বিজয়ের স্বর্ণজয়ন্তী উদযাপন পর্ষদের প্রধান সমন্বয়কারী মেহেদী হাসান।
অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেন বিজয়ের স্বর্ণজয়ন্তী উদযাপন পর্ষদের কর্মসূচি সমন্বয়ক ও মুক্তযুদ্ধ প্রজন্ম কেন্দ্রীয় সংসদের মহাসচিব মো. সেলিম রেজা।
এসি