বাজারে নতুন চাল, দামও কম (ভিডিও)
রিয়াজ সুমন, প্রতিনিধিদের সহায়তায়
প্রকাশিত : ১১:৪১ এএম, ২০ ডিসেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার | আপডেট: ১১:৪২ এএম, ২০ ডিসেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার
নতুন আমন চাল আসায় পাইকারি বাজারে বাড়তি দাম কমতে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলার সরবরাহ বাড়িয়ে আমদানি স্বাভাবিক করা করা গেলে দাম আরও কমে আসবে।
আমন ধানের ভরা মৌসুমে নতুন চাল এখন বাজারে। বাম্পার ফলন হয়েছে এবার। আবার সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে আমদানি করা চালও আসতে শুরু করেছে।
ফলে গত কয়েকদিন ধরে দাম বাড়ার প্রবণতা কমে বাজার স্থিতিশীল হতে শুরু করেছে। চাল আমদানির ঋণপত্র খোলা সহজ হলে দাম আরও কমে আসবে বলে মনে করেন আমদানিকারকরা।
চাল আমদানিকারক আবদুল হান্নান বলেন, “১৫ দিন আগে চালের সর্বনিম্ন দাম ছিল ৪০ টাকা কেজি। সরকার যখন চালের দাম নির্ধারণ করে ৪২ টাকা তখন কৃষক ধান বিক্রি কমিয়ে দেয়। সে কারণে চালের বাজার ৪৫ টাকায় উঠে যায়।”
চট্টগ্রাম রাইস মিল মালিক সমিতির সভাপতি ফরিদউদ্দিন আহমেদ বলেন, “ডলার সংকটের কারণে কেউ যদি ৫শ’ টনের এলসি খুলতে ব্যাংকে যায় তাকে দেওয়া হচ্ছে ১শ’ টনের ডলার। এই সংকটটা যদি কেটে ওঠা যায় তাহলে অদূর ভবিষ্যতে চালের বাজার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নাই।”
চালের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বেসরকারিভাবে আমদানির জন্য গত জুনে ছয় লাখ টনের বরাদ্দ দেয় সরকার। সেপ্টেম্বরে বরাদ্দ দেওয়া হয় আরও এক লাখ টনের। কিন্তু জুনে বরাদ্দ হওয়া বেশির ভাগ চাল ভারত থেকে আমদানি হয়েছে।
ঋণপত্র খোলা নিয়ে জটিলতার কারণে সেপ্টেম্বরে বরাদ্দ হওয়া চাল আমদানির গতি খুব ধীর। তবে দেশে চালের যে মজুত আছে তাতে মে মাস পর্যন্ত সংকট হবে না বলে মনে করছেন আমদানিকারকেরা।
আমদানিকারক ফরিদউদ্দিন আহমেদ বলেন, “কৃষকরা আস্তে আস্তে ধান বিক্রি করছে এবং স্টকেজরাও কিছু ধান কিনছে। কৃষকরা মনে করছে আগামী ধানের দাম বাড়বে।”
এদিকে, চালের আড়তগুলোতে মজুদও ভালো বলছেন আড়তদাররা।
তারা বলেন, “বর্তমান ক্রেতাদের মধ্যে যারা মোটা চাল খায় তাদের ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও স্বস্তি এসেছে। যে চাল তারা ৫০-৫৫ টাকায় কিনতেন সে চাল এখন ৪৫-৪৬ টাকা পাচ্ছেন। ধানের দাম কমছে বলেই চালের দাম কম।”
চাল উৎপাদন, আমদানি এবং মজুদ পর্যাপ্ত থাকলেও দাম স্থিতিশীল রাখতে নিয়মিত বাজার তদারকির পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।
এএইচ