ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১০ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২৪ ১৪৩১

২০২০ সালে আয়কর দেননি ট্রাম্প

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:২৮ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ক্ষমতায় থাকার শেষ বছর ২০২০ সালে কোনো আয়কর দেননি। সে সময় তিনি ব্যবসায়িক ক্ষতির কথা জানিয়ে আয়কর দেননি। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসনাল প্যানেল যে ট্যাক্স পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে, সেখান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার ডেমোক্রেটিক নেতৃত্বাধীন হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের ওয়েস অ্যান্ড মিনস কমিটি করসংক্রান্ত নথি প্রকাশ করেছে। 

নথিতে দেখা গেছে, হোয়াইট হাউসে থাকার সময় ট্রাম্পের আয় ও আয়সংক্রান্ত কর নাটকীয়ভাবে ওঠানামা করেছে। নথিগুলো প্রকাশ করতে ওয়েস অ্যান্ড মিনস কমিটিকে প্রায় এক বছর ধরে লড়াই করতে হয়েছে।

নথিতে দেখা গেছে, ক্ষমতায় থাকাকালীন চার বছরে ট্রাম্প ও তার স্ত্রী মেলানিয়া কিছু কর দিলেও আয়কর কম দিয়েছিলেন। কারণ হিসেবে ব্যবসায়িক ক্ষতির কথা জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। 

ওয়েস অ্যান্ড মিনস ট্রাম্পের আয়কর ছাড়ের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে। মঙ্গলবার এই কমিটির সদস্যরা বলেছেন, ট্রাম্পের জমা দেওয়া আয়কর রিটার্নে কোনো বিশদ বিবরণ ছিল না। আগামী তিন দিনের মধ্যে এই কমিটি ট্রাম্পের সম্পূর্ণ রিটার্নের সংশোধিত সংস্করণ প্রকাশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

ওয়েস অ্যান্ড মিনস কমিটির সদস্যরা আরও বলেছেন, প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প আয়কর রিটার্ন প্রকাশে আনতে চাননি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য প্রেসিডেন্ট সব সময়ই আয়কর রিটার্ন জনসম্মুখে প্রকাশ করেছেন। 

ট্রাম্পের এই নথিগুলো পাওয়ার জন্য কমিটিকে দীর্ঘ এক বছর ধরে লড়াই করতে হয়েছে। অবশেষে গত মঙ্গলবার নথিগুলো প্রকাশ করার জন্য ভোটাভুটিও করতে হয়েছে কমিটিকে। 

এদিকে ট্রাম্পের একজন মুখপাত্র স্টিভেন চেউং গতকাল বুধবার বলেছেন, ‘নথি প্রকাশের বিষয়টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে যদি এই অবিচার হতে পারে, তবে আমেরিকার যেকোনো নাগরিকের সঙ্গেই বিনা কারণে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।’ 

রয়টার্স বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারনাল রেভিনিউ সার্ভিসের (আইআরএস) প্রতি বছর প্রেসিডেন্টদের আয়কর রিটার্ন অডিট করার কথা থাকলেও ২০১৯ সালে ডেমোক্র্যাটরা এ বিষয়ে চাপ না দেওয়া পর্যন্ত ট্রাম্পের আয়কর রিটার্ন অডিট করেনি সংস্থাটি। 

এ বিষয়ে আইআরএসের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। 

এমএম/