আসছে গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ সংকটের আশঙ্কা নেই (ভিডিও)
তৌহিদুর রহমান, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৫২ এএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০২২ শুক্রবার | আপডেট: ০২:১১ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০২২ শুক্রবার
আগামী গ্রীষ্মে দেশে বিদ্যুতের কোনো সংকট হবে না। চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যোগান বাড়বে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঞ্চালন লাইন উন্নয়নের কাজ দ্রুত শেষ না হলে উৎপাদন বাড়লেও লোডশেডিংয়ের আশঙ্কা থেকেই যাবে।
গ্রীষ্মকালে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ে। তাই আগামী গ্রীষ্মকে সামনে রেখে নানামুখী পরিকল্পনা নিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
জোর দেয়া হচ্ছে উৎপাদন ও যোগান বাড়ানোর দিকে। পাশাপাশি সঞ্চালন লাইনের দুর্বলতার কারণে যাতে সারাদেশে বিদ্যুতের সুষম বণ্টন বাধাগ্রস্ত না হয়, সেদিকেও বাড়তি মনোযোগ দিচ্ছে সংস্থটি।
পাওয়ার সেল মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, “যখন গরম পড়া শুরু হবে তখন পরিস্থিতিটা কি হবে। সেটা ভেবেই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।”
বিদ্যুৎ বিভাগের আশা, গ্রীষ্মে লোডশেডিং হবে না। কারণ পায়রা, রামপাল, এসএস পাওয়ারের মতো বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো গ্রীষ্মকালিন বাড়তি চাহিদা পূরণ করবে। সহায়ক হবে ভারতের আমদানীর বিদ্যুৎও।
মোহাম্মদ হোসেন বলেন, “একদিকে আমাদের কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আসবে, আবার এস আলম গ্রুপেরটা জুনে আসার কথা, আদানির পুরোটা যদি আনতে পারি তাহলে নো-লোডশেডিং ধারাটা অব্যাহত থাকবে।”
এদিকে, উৎপাদনের সঙ্গে মিল রেখে সঞ্চালন লাইন উন্নয়নের কাজ দ্রুত শেষ করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় সাব স্টেশন স্থাপনেও বাড়তি গুরুত্ব দেয়ার তাগিদ তাদের।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. ম তামিম বলেন, “আগামী গরমের জন্য কি আমাদের প্রস্তুতি, সেটা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাব-স্টেশন তৈরি হচ্ছে না, লাইনে সময় ক্ষেপণ হচ্ছে- এগুলো দ্রুতভিত্তিতে করতে হবে। নিউক্লিয়ারের যেটা ঢাকায় আসার কথা সেটার লাইনের এখন পর্যন্ত ৫ শতাংশ কাজ হয়েছে।”
মার্চ মাসে দেশে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা থাকে ১৬ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত। আর এই মুহূর্তে উৎপাদন সক্ষমতা ২৫ হাজার ৮শ’ ২৬ মেগাওয়াট।
এএইচ