ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

মুক্তির পর ফ্রান্সে সিরিয়াল কিলার ‘দ্য সার্পেন্ট’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:৩৮ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ শনিবার | আপডেট: ০২:৩৯ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ শনিবার

নেপালের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ফ্রান্সে পৌঁছেছেন ‘দ্য সার্পেন্ট’ নামে পরিচিত চার্লস সবরাজ।

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) দেশটির সুপ্রিম কোর্ট ১৯ বছর ধরে কারাবন্দি ফরাসি অপরাধীর মুক্তির নির্দেশ দেন। আদেশে আরও বলা হয় তাকে ১৫ দিনের মধ্যে দেশ ছাড়তে হবে। সেই হিসেবে তিনি শনিবার ফ্রান্সে এসে পৌঁছান।

উত্তর আমেরিকার দুই পর্যটককে হত্যার দায়ে ২০০৩ সাল থেকে নেপালের কারাগারে ছিলেন এই কুখ্যাত খুনি।

৭০-এর দশকে এশিয়া জুড়ে ২০টি পর্যটক খুনের ঘটনায় সার্পেন্টের জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া যায়। 

বিশ্বের অপরাধ মানচিত্রের অন্যতম কুখ্যাত এই সিরিয়াল কিলার দিল্লিতে তিনজন পর্যটককে বিষ প্রয়োগে দীর্ঘদিন ধরে ভারতের তিহার জেলে ছিলেন। বহুভাষিক সোভরাজ তার সুন্দর চেহারা এবং কমনীয় ব্যক্তিত্বকে শিকারকে আকৃষ্ট করতে ব্যবহার করতেন।

সোভরাজ যেভাবে হত্যা করেছিলেন তার জন্য তাকে ‘দ্য স্প্লিটিং কিলার’ বলা হয়েছিল। সোভরাজের বিরুদ্ধে একাধিকবার জেল থেকে পালানোর অভিযোগও উঠেছে। তিনি ১৯৮৬ সালে তিহার থেকেও পালিয়ে যান। কিন্তু কয়েকদিন পর গোয়ার একটি রেস্তোরাঁ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

১৯৯৭ সালে ভারত থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সোভরাজ ফ্রান্সে যান। এরপর নেপালে গেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯৭৫ সালে কাঠমাণ্ডু দুই পর্যটককে হত্যার মামলায় নেপালের একটি আদালত সোভরাজকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। প্রায় দুই দশক ধরে কারাবন্দি সোভরাজের মুক্তি মঞ্জুর করে সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট।

সম্প্রতি স্বাস্থ্য এবং কারাগারে ভালো আচরণ বিবেচনায় নিয়ে এই বয়স্ক খুনিকে মুক্তি দেয় নেপালের সর্বোচ্চ আদালত। 

শুক্রবার নেপাল থেকে সার্পেন্টকে ফ্রান্সের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়। মুক্তি পেয়ে তিনি বলেন, “আমি বেশ ভাল অনুভব করছি। আমি অনেক কিছু করবো। অনেকের বিরুদ্ধেই আমি মামলা করবো। এরমধ্যে নেপাল সরকারও আছে।”

নিজেকে সিরিয়াল কিলার হিসেবে পরিচয় দিতেও রাজি নন তিনি। তবে তার বিরুদ্ধে ফ্রান্সে কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানা নেই।
সূত্র: ফ্রেঞ্চ টোয়েন্টি ফোর
এসএ/