বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে মাইগ্রেশন বন্ধের বৈধতা প্রশ্নে রুল
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:১৪ পিএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার
গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতে মাইগ্রেশন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
১০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে রিট আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে মাইগ্রেশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন আদালত। এর ফলে তারা মাইগ্রেশন সুযোগ নিয়ে ভর্তি হতে পারবেন বলে জানান আইনজীবীরা।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসান সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র এডভোকেট বদরুদ্দোজা বাদল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এর আগে সোমবার ২৬ ডিসেম্বর রুবেল মিয়া, সাকিব আহমেদ ও আলভী নামে তিন শিক্ষার্থী গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতে মাইগ্রেশন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন।
শিক্ষা সচিব, গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভিসিকে রিটে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়।
বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে রিটটি করা হয়। পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতে একের পর এক নতুন সিদ্ধান্তে পিষ্ঠ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।
সেশনজট এড়াতে যেভাবে তড়িঘড়ি করে ভর্তি পরীক্ষা এক মাস এগিয়ে আনা হয়েছিলো তার ফল তো পেলোই না শিক্ষার্থীরা, বরং ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার চার মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও ভর্তি প্রক্রিয়াই এখনো শেষ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। উল্টো এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইগ্রেশন পদ্ধতি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এতে চরম বিপাকে শিক্ষার্থীরা।
২০ আগস্ট পরীক্ষার কার্যক্রম সম্পন্ন হলেও গুচ্ছ কর্তৃপক্ষ ওয়েবসাইট আপডেট করার নামে শিক্ষার্থীদের বসিয়ে রাখে প্রায় দুই মাস। এরপর নভেম্বর মাস থেকে শুরু হয় ভর্তি কার্যক্রম। এখন পর্যন্ত ৬টি মেধাতালিকায় বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন চালু থাকলেও সপ্তম মেধা তালিকা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এতে ৫৫ এর বেশি নাম্বার পাওয়া শিক্ষার্থীরাও বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশনের সুবিধা নিতে পারছে না। যেহেতু একজন শিক্ষার্থী একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাচ্ছিল, এখন মাইগ্রেশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। উপরের সারির বিশ্ববিদ্যালয়ের সিট ফাঁকা থাকা সত্ত্বেও তারা এখন আর সেখানে ভর্তি হতে পারবে না।
এসি