ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

নতুন বছরে নতুন রাবিপ্রবি দেখার অপেক্ষায় রাবিপ্রবিয়ানরা

আহ্সান হাবীব, রাবিপ্রবি থেকে

প্রকাশিত : ১১:০২ এএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ শনিবার

অন্যান্য বছরের চেয়ে চলতি বছর দারূন কাটিয়েছে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাবিপ্রবি)। সু-উচ্চ পাহাড়, কাপ্তাই লেকের জলরাশি আর বছরজুড়ে পর্যটনে মুখরিত এই শহরের বিশ্ববিদ্যালয়ের চলতি বছর পেয়েছে নানা অর্জন। ২০২২কে বিদায় জানিয়ে  ২০২৩-এ নতুন রাবিপ্রবি দেখার অপেক্ষায় রাবিপ্রবিয়ানরা।

বছরজুড়ে আলোচনা-সমালোচনায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আজকের সালতামামি। 

জানুয়ারি:  গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তিইচ্ছুদের সাক্ষাৎকার, ক্যাফেটেরিয়া সংকট দূর, দীপঙ্কর তালুকদার ভবনের উদ্বোধন ছিল প্রথম মাসের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।

ফেব্রুয়ারি: রাবিপ্রবির প্রথম উপ-উপাচার্য অধ্যাপক কাঞ্চন চাকমার যোগদানের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল রাবিপ্রবির দ্বিতীয় মাস, মাতৃভাষা দিবস পালনও ছিল উল্ল্যেখযোগ্য ঘটনা।

মার্চ: নবীনদের পদচারণায় মুখরিত রাবিপ্রবি, ৭ই মার্চ ও স্বাধীনতা দিবস পালনের মাধ্যমে অগ্নিঝড়া মার্চের সমাপ্তি ঘটে।

এপ্রিল: বৈসাবি উৎসব, বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় রাবিপ্রবির ৬ গবেষক, ইফতার মাহফিল, টেকনোলজিকাল ফেসটিভেলের আয়োজনের মাধ্যমে ব্যস্ততম মাস পার করে রাবিপ্রবি।

মে: টেকনোলজিকাল ফেস্টিভেলের সমাপ্তি, উপ-উপাচার্যের বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রাবিপ্রবি গড়ে তোলার স্বপ্ন, ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে রাবিপ্রবিয়ানদের ক্যাম্পাসে ফেরা ছিল এই মাসের ঘটনা।

জুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান পর্যটন নগরীতে হওয়ার কারণে প্রতিবছরের ন্যায় এই বছরেও বিশ্বপরিবেশ দিবস গুরুত্ব দিয়ে পালন করে রাবিপ্রবি। 

জুলাই: ঈদ-উল আযহার দিন থেকে ঈদের ছুটি ঘোষণা ছিল এই মাসের সব চেয়ে সমালোচিত ঘটনা। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট পাস, প্রশাসনিকভাবে প্রথমবার ঘটা করে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন ও গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিও ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এসব আলোচনা ও সমালোচনার ভিড়ে আষাঢ়ের বৃষ্টি বিলাস বাদ যায়নি রাবিপ্রবিয়ানদের স্মৃতি থেকে। 

আগস্ট: শোকের মাসে নতুন করে শোকাহত ছিল রাবিপ্রবি। সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমার পরলোকগমনে রাবিপ্রবিতে নেমে এসেছিল শোকের ছায়া। এছাড়াও ৭ই মার্চ ও ১৫ই আগস্টে শোক ও শ্রদ্ধায় জাতির পিতাকে স্মরণ করেছিল রাবিপ্রবি, বহুল প্রত্যাশিত ক্যাফেটেরিয়ার যাত্রা শুরু হয়েছিল এই মাসে।

সেপ্টেম্বর: টেকনোলজিকাল ফেস্টিভলের পুরষ্কার বিতরণ, প্রয়াত উপচার্যের স্মরণ সভা ও ক্রিয়াঙ্গণের মাধ্যমে রাবিপ্রবির সবচেয়ে আলোচিত মাস এই সেপ্টেম্বর। প্রায় আট মাস উপাচার্যবিহীন রাবিপ্রবি প্রথম নারী উপাচার্য হিসেবে প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার এই মাসেই প্রশাসনিক দায়িত্বে পেয়েছেন। যোগদানের পরপরেই টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন, পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া কামনা এবং শোক বইতে স্বাক্ষর ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই মাসেই নবাগত উপাচার্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাবিপ্রবির গড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

অক্টোবর: প্রসাশনিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন পালন, সারদীয় দুর্গাপূজা, প্রবারণা পূর্ণিমা, শেখ রাসেল দিবস ২০২২ ও  শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (এমপি) নবাগত উপাচার্যের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ছিল এই মাসের আলোচিত ঘটনা। দুইজন সহকারী প্রভোস্ট নিয়োগ করাও হয় এই মাসেই।

নভেম্বর: বিভিন্ন বিভাগের জন্মদিন পালন, বিশ্ব মৎস দিবস পালন, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন ছিল এই মাসের আলোচিত ঘটনা।

ডিসেম্বর: নতুন রেজিষ্ট্রারের যোগদান, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও বিজয় দিবস উদযাপন ও ইনোভেটিভ টিচিং বিষয়ে কর্মশালার মাধ্যমে ২০২২ সালের সকল কার্যক্রম শেষ হয়ে যায়।  বছরের শেষ সময়ে বড়দিনের ছুটি ও শীতকালের অবকাশের মাঝে রাবিপ্রবি এখন নীরব।

পুরানো বছরের নেয়া নানা কর্মপরিকল্পনা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় সমস্যাগুলো নতুন বছরে খুব দ্রুত সমাধানের মাধ্যমে রাবিপ্রবি প্রকাশ করবে তার আপন শক্তি ও দেখাবো নতুন আলো, নতুন প্রসাশনের হাত ধরে ২০২২ এর চেয়ে ২০২৩ হবে আরও অর্জনের, আরও সাফল্যের- এমনই মনে করছেন রাবিপ্রবিয়ানরা।

এএইচ