ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

বারবার গায়ে হাত দিলে কোনো সম্পর্কই আর থাকেনা: পরীমণি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৫৪ পিএম, ১ জানুয়ারি ২০২৩ রবিবার

বছরের শুরুতেই ভাঙনের খবর শোনালেন নায়িকা পরীমণি। দাম্পত্য কলহের জের ধরে শরিফুল রাজের বাসা থেকে ছেলে রাজ্যকে নিয়ে বেরিয়ে আসেন পরী। ফেসবুকে দুটি ছবি শেয়ার করেছেন তিনি। যেখানে তার বিছানা দেখা যাচ্ছে, আর সেই বিছানায় রক্তের দাগ! 

এরপর তিনি জানান, ‘রাজকে তার জীবন থেকে মুক্ত করে নিয়েছেন’। তবে এর মাঝে শোনা গিয়েছিল বিবাদ ভুলে তারা আবার একসঙ্গে থাকবেন।

কিন্তু আজ রোববার এক ফেসবুক পোস্টে পরীমণি নিজের অবস্থান পরিস্কার করেন। এবং একসঙ্গে থাকা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন। তিনি অভিযোগ করেন রাজ তার গায়ে হাত তুলেছেন।

ফেসবুক স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো- ‘একটা সম্পর্কে পুরোপুরি সিরিয়াস বা খুব করে না চাইলে একটা মেয়ে, বাচ্চা নেয়ার মতো এত বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে না কখনোই।আমার জীবনের সবটুকু চেষ্টা যখন এই সম্পর্কটাকে ঠিকঠাক টিকিয়ে রাখা তখনই আমাকে পেয়ে বসা হলো। যেন, শত কোটি বার যা ইচ্ছে তাই করলেও সব শেষে ওই যে আমি মানিয়ে নেই এটা রিতিমতো দারুণ এক সাংসারিক সুত্র হয়ে দাঁড়ালো।’

তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমি জোর দিয়ে বলতে পারি আমাদের এই সম্পর্ক এত দিন আমার এফোর্টে টিকে ছিলো শুধু। কিন্তু বারবার গায়ে হাত তোলা পর্যায়ে পৌঁছালে কোনো সম্পর্কই আর সম্পর্ক থাকেনা। স্রেফ বিষ্ঠা হয়ে যায়।’ 

পরীর ভাষ্য, রাজ্যের দিকে তাকিয়ে বার বার সব ভুলে যাই। সব ঠিক করার জন্যে পরে থাকি। কিন্তু তাতে কি আসলেই আমার বাচ্চা ভালো থাকবে! না। একটা অসুস্থ সম্পর্ক এত কাছে থেকে দেখে দেখে ও বড় হতে পারে না। তাই আমি, রাজ্য এবং রাজের মঙ্গল এর জন্যেই আলাদা হয়ে গেলাম।’

কঠোর ভাষায় পরীমণি বলেন, ‘রাজ এখন শুধু আমার প্রাক্তন’ই না, আমার ছেলের বাবাও। তাই রাজ্যের বাবার সন্মান রাখতে পাবলিকলি আর বাকি কিছু বলছি না আমি। তবে আমার উপর তার আর তার পরিবারের কোন অসুস্থ আচরণ বা হার্মফুল কিছু করার চেষ্টা করলে আমি কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবো।’

সবশেষে তিনি উল্লেখ করেন, ‘সম্মানিত গণমাধ্যমকর্মী যারা রয়েছেন আপনারা নিশ্চই আমার মানসিক অবস্থা বুঝতে পারবেন আশা করছি। আমাকে একটু সময় দিন। শারীরিক ভাবেও আমি বিধ্বস্ত। রাজ্য তার বাবা মাকে একসাথে নিয়ে বড় হতে পারলো না এর থেকে কষ্টের আর কি হতে পারে আমার কাছে……!’

এসি