ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

ঐতিহাসিক শ্রীফলতলী জমিদার বাড়ী (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৩৩ পিএম, ৩ জানুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৬:৪৮ পিএম, ৫ জানুয়ারি ২০২৩ বৃহস্পতিবার

গাজীপুরের ঐতিহাসিক শ্রীফলতলী জমিদার বাড়ী বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাগুলোর মধ্যে একটি। এই জমিদার বাড়িটি দুটি অংশে বিভক্ত। এক অংশকে বলাহয় বড় তরফ, অপর অংশকে ছোট তরফ।

১৩০০ খ্রিস্টাব্দে বিখ্যাত তালিবাবাদ পরগণার নয় আনা অংশের মালিকানা নিয়ে গঠিত হয় শ্রীফলতলী জমিদার এস্টেট। এই এস্টেটের প্রধান কর্ণধার খোদা নেওয়াজ খানের কনিষ্ঠ পুত্র রহিম নেওয়াজ খান চৌধুরী’র হাত ধরে এই শ্রীফলতলী জমিদার বাড়ীর গোড়াপত্তন ঘটে। 

জমিদারী পরিচালনায় তিনি তার নিজের কাচারি বাড়ীর পাশাপাশি আধারিয়া বাড়ীর বাগানবাড়ীকে অফিস হিসেবে ব্যবহার করতেন। তার জমিদারীর পরিসীমা ময়মনসিংহ, নরসিংদী ও সাটুরিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর পূর্বে তালিবাবাদ পরগনা সাভার হতে পৃথক হয়ে ‘কালিয়াকৈর’ নামে নতুন থানা হিসেবে পরিচিতি পায়।

১৯৫৬ সালে সরকার জমিদার প্রথা বাতিল ঘোষণার পর থেকে এই জমিদারদের ক্ষমতা স্তিমিত হয়ে পড়ে । তাই বড় তরফের বংশধররা এখানকার মায়া ত্যাগ করে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে গিয়ে বসবাস শুরু করেন । আর ছোট তরফের বংশধররা তাদের ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য এখনো কাজ করে যাচ্ছেন। বাড়িটির বিভক্তি রেখার মাঝখান দাঁড়িয়ে আছে একটি মসজিদ। মসজিদের পাশে চিরনদ্রায় শায়িত আছেন এই এস্টেটের প্রধান কর্ণধার রহিম নেওয়াজ খান।

প্রতিদিন জমিদার বাড়িটির সৌন্দর্য ও ঐতিহ্য দেখতে ছুটে আসেন নানা বয়সী দর্শনার্থীরা।

গাবতলী থেকে বিভিন্ন পরিবহন যোগে যাওয়া যায় এই জমিদার বাড়ি। থাকার জন্য এখানে ভালো মানের আবাসিক হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে।

এমএম/