শুনানি শেষে আদেশের অপেক্ষায় বুশরার জামিন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৩২ পিএম, ৫ জানুয়ারি ২০২৩ বৃহস্পতিবার
বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলায় তার বন্ধু আমাতুল্লাহ বুশরার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিষয়টি আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখারের আদালতে বুশরার জামিন শুনানি হয়। তার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোখলেসুর রহমান বাদল।
ফারদিনের বাবা নুর উদ্দিন রানাও শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। তার পক্ষে আইনজীবী মো. শামীম হাসান জামিনের বিরোধিতা করে যুক্তি দেন। এছাড়া আদালত পুলিশের কর্মকর্তা আবদুল মান্নান ছিলেন শুনানিতে।
এ বিষয়ে মোখলেসুর রহমান বাদল বলেন, “আদালত শুনানি নিয়েছেন, আদেশ পরে দেবেন জানিয়েছেন।”
পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে গত ১৬ নভেম্বর বুশরার জামিন আবেদন খারিজ করে তাকে কারাগারে রাখার আদেশ দিয়েছিল আদালত। ৫ ডিসেম্বর হাকিম আদালতে বুশরার জামিন আবেদন আবারও খারিজ হলে তিনি জজ আদালতে আবেদন করেন।
মামলার তদন্তকারী সংস্থাটি গোয়েন্দা পুলিশ ইতোমধ্যে জানিয়েছে, ফারদিন খুন হননি, আত্মহত্যা করেছিলেন। আর তার মৃত্যুর সঙ্গে বুশরার কোনো ‘সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি’। সুতরাং আদালতে এ মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ফারদিনের বাবার বলেন, “আমি তদন্ত কর্তৃপক্ষের আত্মহত্যার ভাষ্য মানছি না। সুতরাং বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত বুশরা জামিন পাক তা চাই না। সে দোষী না হলে অবশ্যই মামলায় শুধু জামিন নয়, অব্যাহতি পাবে। আমি তখন নিজেই তাকে যেন জামিন দেওয়া হয়, এটা আদালতে দঁড়িয়ে বলব; কিন্তু এখন নয়। আমাকে তদন্ত কতৃর্পক্ষ বলেছে আগামী ১৫ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে পাঠানো হবে।”
২৪ বছর বয়সী ফারদিন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং ক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদকও ছিলেন ফারদিন।
আর তার বন্ধু আমাতুল্লাহ বুশরা পড়েন ঢাকার ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে রামপুরার বনশ্রী এলাকায় মেসে থাকতেন তিনি।
বছর পাঁচেক আগে এক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ফারদিনের সঙ্গে তার পরিচয় হয় বলে ফারদিনের বাবা কাজী নূরউদ্দিন রানা জানিয়েছিলেন।
গত ৪ নভেম্বর নিখোঁজ হওয়ার পর ৭ নভেম্বর বিকালে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করেছিল নৌ-পুলিশ। আর ফারদিন নিখোঁজ হওয়ার আগে তাকে সর্বশেষ রামপুরা এলাকায় বুশরার সঙ্গে দেখা গিয়েছিল। সে কারণে রামপুরা থানাতেই একটি জিডি করেছিলেন ফারদিনের বাবা।
এসএ/