ঢাকা, শুক্রবার   ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৫ ১৪৩১

কবুতর পালনে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ দেখাচ্ছেন লক্ষ্মীপুরের মাহবুব 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:০৭ পিএম, ৫ জানুয়ারি ২০২৩ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১২:২৭ পিএম, ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ শনিবার

শখের বসে শুরু করলেও একসময় কবুতর পালন করেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন লক্ষ্মীপুরের অনেক বেকার যুবক। তারই উদাহরণ মাহবুবুর রহমান।

পৌর শহরের হাসপাতাল রোডে ২০১৩ সালের শেষ দিকে মাত্র ৩ জোড়া কবুতর পালন শুরু করেন তিনি। মাস না যেতেই দেখেন সাফল্য। এখন তার ৪টি খামারে প্রায় আড়াই শতাধিক কবুতর রয়েছে। এদের মধ্যে গিরিবাজ, হলুদ সিরাজি, লাল সিরাজি, শিল্পা, পালিশ, লোটন, শটপিছ ও রেইন কবুতরসহ রয়েছে ১২ জাতের কবুতর।

জাতভেদে প্রতি জোড়া কবুতর বিক্রি হচ্ছে এক থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা পর্যন্ত। চাহিদা থাকায় বেচা-কেনাও বেশ ভালো। সব খরচ বাদ দিয়ে মাসে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা লাভ করেন মাহবুব। তাকে অনুসরণ করে কবুতর চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন এলাকার অনেক বেকার শিক্ষিত যুবক। কবুতরের রোগ-বালাই কম ও পুষ্টিকর মাংস হওয়ায় দিন দিন এর চাহিদা বাড়ছে। একই সাথে বাজারে চাহিদা থাকায় অল্প পুঁজিতে লাভবান হচ্ছে তারা।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় প্রায় ৭৫টি খামারে লক্ষাধিক কবুতর রয়েছে। 

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, কবুতরের রোগ-বালাই কম এবং সু-স্বাদু হওয়ায় যথেষ্ট চাহিদা আছে। অল্প সময়ে বাচ্চা প্রচুর হয় তাই শিক্ষিত বেকার যুবকরা এটিকে পেশা হিসেবে নিচ্ছে। এসব খামারিদের বিনা মুল্যে চিকিৎসা ঔষধ দেয়া হচ্ছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা। 

সরকারী সহযোগিতায় প্রশিক্ষন ও ঋন সহায়তা পেলে লক্ষ্মীপুরের বেকার যুবকরা কবুতর পালন করে আরো স্বাবলম্বী হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এমএম/