ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

বিপিএলের আদ্যপান্ত

নাজমুশ শাহাদৎ

প্রকাশিত : ০৫:১৪ পিএম, ৫ জানুয়ারি ২০২৩ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৫:৩০ পিএম, ৫ জানুয়ারি ২০২৩ বৃহস্পতিবার

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) বাংলাদেশের পেশাদার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লিগ। ২০১২ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড- বিসিবি প্রথম বিপিএল আয়োজন করে। ২০১২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারী বিপিএল-এর প্রথম আসর শুরু হয়।

বিপিএলের প্রথম ও দ্বিতীয় আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস। ২০১৫ সালে তৃতীয় আসরে নতুন দল হিসেবে প্রথমবার অংশগ্রহণ করেই শিরোপা জয় করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে চতুর্থ আসরে ঢাকা ডায়নামাইটস নতুন নামে ঢাকার শিরোপা পুনরুদ্ধার করে। বিপিএলের ৫ম আসর ২০১৭ সালের ২ নভেম্বর থেকে শুরু হয়। এতে নতুন ফ্রাঞ্চাইজি হিসেবে যোগ হয় সিলেট সিক্সার্স। এই আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় রংপুর রাইডার্স। বিপিএলের ৬ষ্ঠ আসর ২০১৯ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ডাইনামাইটসকে পরাজিত করে দ্বিতীয়বারের মত চ্যাম্পিয়ন হয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। সর্বশেষ ২০২২ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি নতুন দল ফরচুন বরিশালকে ১ রানে হারিয়ে ৩য়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।

প্রথম আসর

২০১২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বিপিএলের প্রথম আসরের উদ্বোধন হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয় হোম অব ক্রিকেট খ্যাত মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম। উদ্বোধন করেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান। এই আসরে অংশ নেয় মোট ৬টি ফ্রাঞ্চাইজি দল। আসরের প্রথম খেলা হয় ১০ ফেব্রুয়ারি এবং ফাইনাল খেলা হয় ২৯ ফেব্রুয়ারি। 

ঢাকার শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম এবং চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম মিলে সর্বমোট ৩৩টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। যার ২৫টি ঢাকায়, আর বাকি ৮টি হয় চট্টগ্রামে। ২৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ফাইনাল ম্যাচের মধ্যদিয়ে শেষ হয় বিপিএলের প্রথম আসর। 

৬টি দল একে অপরের বিপক্ষে দুটি করে ম্যাচ খেলে রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে, হোম আর অ্যাওয়ে হিসেবে। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ ৪ দল পরবর্তীকালে নক-আউট রাউন্ড খেলে। সিলেট রয়্যালস এবং চিটাগং কিংস সেমিফাইনালে অগ্রসর হতে পারেনি। দুরন্ত রাজশাহী, খুলনা রয়েল বেঙ্গলস, ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস এবং বরিশাল বার্নার্স সেমি-ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়। পরবর্তীতে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস ফাইনালে বরিশাল বার্নার্সকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয়।

দ্বিতীয় আসর

বিপিএলের দ্বিতীয় আসর শুরু হয় ২০১৩ সালের ১৭ জানুয়ারি, মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে বিপিএল দ্বিতীয় আসরের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। 

উদ্বোধনী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় ১৮ জানুয়ারি। তার আগে খেলোয়াড় নিলাম অনুষ্ঠিত হয় ২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর। এই টুনামেন্টে ৭টি দল অংশগ্রহণ করে। সপ্তম দলটি হচ্ছে রংপুর রাইডার্স। এ আসরটি মোট ৩টি মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এবারই প্রথমবারের মতো খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে বিপিএলের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় এবং চট্টগ্রামে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের পরিবর্তে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। মোট ৪৬টি ম্যাচের মধ্যে ২৮টি ম্যাচ হয় মিরপুর শেরে বাংলায়, ১০টি এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে এবং ৮টি শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে। ফাইনালে চিটাগং কিংসকে ৪৩ রানে হারিয়ে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস দ্বিতীয়বার বিপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়।

তৃতীয় আসর

২০১৫ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের তৃতীয় আসর। ইতোপূর্বে হওয়া দুটি আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস। টুর্নামেন্টটি ২০১৫ সালের ২২ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা ও চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়।

বিপিএলের তৃতীয় আসরে অংশ নেয় ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর, বরিশাল ও কুমিল্লা। ঢাকার ফ্র্যাঞ্চাইজি পায় বেক্সিমকো গ্রুপ। এর আগের দুই আসরে বরিশালের মালিক আলিফ গ্রুপ পায় সিলেটের মালিকানা। রংপুরের দলটি কিনে আই স্পোর্টস। কুমিল্লার মালিকানা পায় রয়্যাল স্পোর্টস। বরিশালের ফ্র্যাঞ্চাইজি পায় এক্সিওম, চট্টগ্রামের মালিকানা পায় ডিবিএল গ্রুপ।

তৃতীয় আসরের টাইটেল স্পন্সর ও স্টেডিয়াম সত্ত্ব পায় বিআরবি কেবলস।

মাঠ

বিপিএল তৃতীয় আসরের মোট ৩৪টি ম্যাচ ২টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ২৬টি ম্যাচ মিরপুরের শেরে বাংলায় এবং ৮টি চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
চতুর্থ আসর

বিপিএলের ৪র্থ আসরটি একেএস বিপিএল-২০১৬ নামে পরিচিত। এই আসরেও মোট সাতটি দল অংশ নেয়। আসরটি মূলত ২০১৬ সালের ৪ নভেম্বর শুরু হয়। কিন্তু বৃষ্টির কারণে টুর্নামেন্টের প্রথম দুই দিনের চারটি ম্যাচ বাতিল হয়ে যায় ও পরে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় টুর্নামেন্ট ৮ নভেম্বর পুনঃআরম্ভ করা হয়। বাতিল হওয়া সবকটি ম্যাচও পুনরায় অনুষ্ঠিত হয়। টুর্নামেন্ট শেষ হয় ৯ ডিসেম্বর।

এই আসরে খুলনা টাইটান্স ও রাজশাহী কিংস নতুন মালিকানায় অংশ নেয়। এ দুটি দলকে ২০১৫ প্রতিযোগিতায় নিয়ম ভঙ্গের কারণে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে, সিলেট সুপার স্টার্সের ফ্রাঞ্চাইজিকে এই আসর থেকে বাদ দেওয়া হয়। বিসিবি প্রথমে জানায়, সিলেট ফ্রাঞ্চাইজি চুক্তি লঙ্ঘন বা ব্যাংক নিশ্চয়তা না দেয়ায় তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পরে ২১ সেপ্টেম্বর জানায় যে, "শৃঙ্খলজনিত কারণে" তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে।
২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত তৃতীয় আসরের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস এই আসরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়ে যায়। ফাইনালে রাজশাহী কিংসকে পরাজিত করে ঢাকা ডাইনামাইটস তাদের প্রথম শিরোপা লাভ করে।

মাঠ

ফাইনালসহ মোট ৪৬টি ম্যাচ ঢাকা ও চট্টগ্রামের দুটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয়। টুর্নামেন্টের ২য় পর্বের মোট ১০টি ম্যাচ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে প্লেঅফ, ফাইনালসহ ১ম পর্ব ও ৩য় পর্বের ম্যাচগুলো মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।

পঞ্চম আসর

২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত বিপিএলের পঞ্চম আসরেও সাতটি দল অংশ নেয়। ২ নভেম্বর শুরু হয়ে ১২ ডিসেম্বর শেষ হয়। ফাইনালে ঢাকা ডায়নামাইটসকে ৫৭ রানে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো শিরোপা লাভ করে রংপুর রাইডার্স।

খেলোয়াড় নির্বাচন

২০১৭ সালের বিপিএল ড্রাফ্ট ওই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে একটি দল কমপক্ষে ৭ জন স্থানীয় খেলোয়াড় এবং ২ জন বিদেশী খেলোয়াড় কেনার সুযোগ পায়। এই আসরে একটি নতুন নিয়ম প্রয়োগ করা হয়, যার মাধ্যমে একটি দল ৪ জন বিদেশীর পরিবর্তে একটি ম্যাচে ৫ জন বিদেশী খেলোয়াড় অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ পায়।

অনুষ্ঠানে ৫১ জন স্থানীয় এবং ১৫ জন বিদেশীসহ মোট ৬৬ জন খেলোয়াড় বিক্রি হয়। রংপুর রাইডার্স সর্বোচ্চ ১৬ জন খেলোয়াড় কিনে নেয়।

মাঠ

ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের তিনটি ভেন্যুতে সর্বমোট ৪৬টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনাল ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।

ষষ্ঠ আসর

২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত বিপিএলের ৬ষ্ঠ আসরেও সাতটি শহর থেকে সাতটি দল অংশগ্রহণ করে। এ আসরটি মূলত ২০১৮ সালের ১ অক্টোবরে শুরু হয়ে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত আয়োজনের জন্য নির্ধারণ করা হয়। তবে ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলাকালীন নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণে আসরটি ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়। আসরটি ২০১৯ সালের ৫ জানুয়ারি শুরু হয় এবং বিপিএলে প্রথমবারের মতো আম্পায়ার সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা পদ্ধতি (ডিআরএস) ব্যবহার করা হয়। এই আসরে প্রতি দলে ৪ জন করে বিদেশি খেলোয়াড় খেলার সুযোগ পায়, যেখানে পঞ্চম আসরে ৫ জন করে বিদেশি খেলোয়াড় খেলার সুযোগ পায়।

এই আসরের ফাইনালে ঢাকা ডাইনামাইটসকে ১৭ রানে হারিয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস দ্বিতীয় শিরোপা লাভ করে। ফাইনালে ১৪১ রান করে তামিম ইকবাল ম্যাচসেরার পুরস্কার পান। ৫৫৮ রান করে রাইলি রুশো টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন। সাকিব আল হাসান ২২ উইকেট নিয়ে উইকেট শিকারে শীর্ষ হন এবং অলরাউন্ডিং নৈপুণ্যে তিনি টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও লাভ করেন।

মাঠ

এই আসরে ৩টি ভেন্যুতে ৪টি পর্যায়ে সবগুলো ম্যাচ আয়জন করা হয়। প্রথম পর্যায়ে ঢাকায় ১৪টি ম্যাচ, দ্বিতীয় পর্যায়ে সিলেটে ৮টি ম্যাচ, তৃতীয় পর্যায়ে আবারও ঢাকায় ৬টি ম্যাচ এবং চতুর্থ পর্বে চট্টগ্রামে ১০টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। প্লেঅফ এবং ফাইনাল খেলা ঢাকার শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।

সপ্তম আসর

বিপিএলের ৭ম আসরটি বঙ্গবন্ধু বিপিএল নামেই পরিচিত। আসরটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ২০১৯ সালের ৪ ডিসেম্বর এবং ৬ ডিসেম্বর খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে আসরটি ৫দিন পিছিয়ে ১১ ডিসেম্বর শুরু হয় এবং শেষ হয় ২০২০ সালের ১৭ জানুয়ারি। 

এই আসরেও ৭টি দল অংশ নেয়। দলগুলো হলো- কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, ঢাকা প্লাটুন, রাজশাহী রয়্যালস, খুলনা টাইগার্স, সিলেট থান্ডার ও রংপুর রেঞ্জার্স। বরিশাল বুলস বাদ পড়ে এই আসর থেকে। 
ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের তিনটি ভেন্যুতে মোট ৪২টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। যার মধ্যে প্লে-অফ ও ফাইনালসহ ২৪টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে। ফাইনালে খুলনা টাইগার্সকে ২১ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় রাজশাহী রয়্যালস।

অষ্টম আসর

অষ্টম আসরটি ২০২১ সালের মার্চে হবার কথা থাকলেও কোভিড মহামারীর কারণে তা স্থগিত করা হয় এবং পরবর্তীতে ২০২২ সালের ২১ জানুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।

এই আসরে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ৬টি দল অংশগ্রহণ করে। ২০২২ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী ফরচুন বরিশালকে হারিয়ে ৩য় বারের মতো শিরোপা অর্জন করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

দল সমূহ

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস, ফরচুন বরিশাল, খুলনা টাইগার্স, মিনিস্টার ঢাকা ও সিলেট সানরাইজার্স।

পরিবর্তিত নিয়ম

সবগুলো ফ্র্যাঞ্চাইজি নিশ্চিত করার পর বিসিবি খেলার শর্তে ৩টি পরিবর্তন আনে:
১. প্রতিটি দলকে একটি ম্যাচে সর্বোচ্চ ৩ জন বিদেশী খেলোয়াড় খেলার অনুমতি দেওয়া হয়।
২. প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি যেকোনো শ্রেণি থেকে ১ জন স্থানীয় খেলোয়াড়কে সরাসরি স্বাক্ষর করাতে পারবে এবং সর্বাধিক ৩ জন বিদেশী খেলোয়াড়কে সরাসরি স্বাক্ষর করাতে পারবে।
৩. প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি স্থানীয় খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ১০ এবং সর্বাধিক ১৪ জন স্থানীয় খেলোয়াড়কে স্বাক্ষর করাতে পারবে এবং বিদেশি খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৩ এবং সর্বাধিক ৮ জনকে স্বাক্ষর করাতে পারবে।
ফ্রাঞ্চাইজি

প্রত্যেক ফ্রাঞ্চাইজির সর্বনিম্ন নিলামমূল্য এক মিলিয়ন ডলার। বর্তমানে বিসিবি ও ফ্রাঞ্চাইজি মালিকরা ১২ বছরের চুক্তি করেছে।

চুক্তির উল্লেখযোগ্য শর্ত: 

চুক্তির মেয়াদ ১২ বছর। আর ১২ বছর পর ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো দলের পরিপূর্ণ মালিক হবে। তখন বিসিবিকে তাদের আয়ের ২০ শতাংশ দিতে হবে। ১২ বছর পর্যন্ত ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ১.০৫ মিলিয়ন ডলার দেবে। বিসিবি এই ১২ বছর ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর রেভিনিউ থেকে সাড়ে ৭ লাখ ইউএস ডলার দেবে। তিন বছরের আগে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক দল বিক্রি করতে পারবেন না।

নবম আসর

নতুন বছরের শুরুতেই মাঠে গড়াচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসর। পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ৬ জানুয়ারি (২০২৩) শুরু হচ্ছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এ ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট।
বিপিএল-এর নবম আসরে সাতটি দল অংশগ্রহণ করছে। ইতোমধ্যে দলগুলো তাদের খেলোয়াড় নির্বাচন চূড়ান্ত করেছে। একই সময়ে ক্রিকেট বিশ্বে আরও বেশ কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ থাকলেও বিপিএলের দলগুলো গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারদের দলে অন্তর্ভুক্ত করতে পেরেছে।

বিপিএলে এবার অংশ নেওয়া দলগুলো হলো- চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, সিলেট স্ট্রাইকার্স, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস, রংপুর রাইডার্স, ঢাকা ডমিনেটরস, খুলনা টাইগার্স ও ফরচুন বরিশাল।

ঢাকার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম ছাড়াও সিলেট ও চট্টগ্রামে বিপিএলের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে। এবারের আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স এবং সিলেট স্ট্রাইকার্স।

বিপিএলের এবারের আসরের প্রাইজমানি চার কোটি টাকা। চ্যাম্পিয়ন দল পাবে দুই কোটি, রানার-আপ দলের জন্য অর্থ পুরস্কার থাকছে এক কোটি।

টুর্নামেন্টসেরা খেলোয়াড়ের জন্য ১০ লাখ টাকা অর্থ পুরস্কার রাখার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক।

এনএস