ঢাকা, শুক্রবার   ১১ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২৫ ১৪৩১

খুলনার বিপক্ষে জয়ে শুরু নাসিরদের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:৪৫ পিএম, ৭ জানুয়ারি ২০২৩ শনিবার

শুরুতে অল্প রানে অলআউট হলো খুলনা টাইগার্স। জবাব দিতে নেমে ঢাকা ডমিনেটরসও ভুগলো বেশ। মাঝে ফের সামনে এলো বিপিএলের ডিআরএস বিতর্ক। এসবের মাঝেই আল আমিন হোসেনের দুরন্ত বোলিংকে ছাপিয়ে বলে-ব্যাটে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে জেতালেন নাসির হোসাইন।

শনিবার (৭ জানুয়ারি) মিরপুরে বিপিএলের তৃতীয় ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে ঢাকা। 

শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান করে খুলনা। জবাব দিতে নেমে ৫ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ঢাকা ডমিনেটরস। ১৯.১ ওভারে ৬ উইকেটের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন নাসির বাহিনী। 

বল হাতে ২৯ রানে ২ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে ৩৬ বলে ৩৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হন ঢাকার অধিনায়ক।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নামের প্রতি সুবিচার করতে ব্যর্থ হন তামিম ইকবাল (৮), সারজিল খান (৭) ও মুনিম শাহরিয়ার (৪)। দল নায়ক ইয়াসির আলীর ২৪, সাইফুদ্দিনের ১৯ ও আজম খানের ১৮ রানের মাঝারি ইনিংসে ভর করে ১১৩ রান জমা করতে পারে খুলনা। এছাড়া সাব্বির রহমান অপরাজিত থাকেন ১১ বলে ১১ রান করে।

ঢাকার আল আমিন হোসেন একাই ৪টি উইকেট তুলে নেন ২৮ রান দিয়ে। ২৪ ও ২৯ রান দিয়ে ২টি করে উইকেট পান দুই স্পিনার আরাফাত সানি ও নাসির হোসাইন।

জবাব দিতে নেমে ঢাকাকে ভালো শুরু এনে দেন দুই বিদেশি ওপেনার আহমেদ শেহজাদ ও দিলশান মুনাবিরা। কিন্তু শেহজাদ রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে সাজঘরে ফিরলে ধাক্কা খায় ঢাকা। দলীয় ১৬ রানের মাথায় পল ফন মিকারিনের বল হাতে লাগে শেহজাদের।

দলটি প্রথম উইকেট হারায় ৪৭ রানের মাথায়। ওয়াহাব রিয়াজের বলে আজম খানের হাতে ক্যাচ দেন সৌম্য সরকার। এর আগেই অবশ্য ঘটে এক নাটক। ষষ্ঠ ওভারে নাসুমের বলে সৌম্যকে এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার। সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ নেন ব্যাটার।

টিভি আম্পায়ার দেখে সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। এরপরও ক্ষোভ জানিয়ে মাঠেই দাঁড়িয়ে থাকেন সৌম্য। আম্পায়াররা আবারও রিপ্লে দেখে সিদ্ধান্ত বদলান। তারপর ক্ষোভ জানান তামিম ইকবাল। বেশ কিছুক্ষণ আম্পয়ারের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাকে। বিপিএলে ডিআরএস না থাকা নিয়ে শুরুর বিতর্কই যেন আরেকটু উস্কে দিলো এই ঘটনা।

যাইহোক সৌম্যকে হারানোর পর দ্রুত আরও দুই উইকেট হারায় ঢাকা। এরপর দলকে এগিয়ে নেন নাসির হোসাইন ও উসমান গনি। এই দুজন মিলে গড়েন ৪৪ রানের জুটি। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে পল ফন মিকারিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান উসমান (১৪)। ভেঙে যায় জুটি।

দলকে বাকি পথ টেনে নেন অধিনায়ক নাসির ও আরিফুল হক। ৪টি চারে ৩৬ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন নাসির হোসাইন, আরফুল অপরাজিত থাকেন ৩ বলে ৩ করে।

এনএস//কেআই//