নড়াইলে ১৪ দিনব্যাপী ‘সুলতান মেলা’র উদ্বোধন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:১২ পিএম, ৭ জানুয়ারি ২০২৩ শনিবার
বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী স্মরণে সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ মাঠের সুলতান মঞ্চ চত্বরে আজ ১৪ দিনব্যাপী ‘সুলতান মেলা’র উদ্বোধন করা হয়েছে।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় মেলার উদ্বোধন করেন-প্রধান অতিথি খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুর রশিদ। জেলা প্রশাসক ও সুলতান ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, নড়াইল জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা ড. লুৎফর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ফকরুল হাসান, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. রবিউল ইসলাম, নড়াইল পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন-নড়াইল পৌরসভার কাউন্সিলর শরফুল আলম লিটু। জেলা প্রশাসন ও সুলতান ফাউন্ডেশনের যৌথ আয়োজনে এ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
লোকজ সংস্কৃতির এ মেলায় বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক চিত্র প্রদর্শনী, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন গ্রামীণ খেলাধুলা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সুলতান স্বর্ণপদক প্রদান ও সুলতানের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা সভা। আগামী ২০ জানুয়ারি মেলা শেষ হবে। মেলায় গ্রামীণ কুঠির শিল্পসহ বিভিন্ন পণ্যের শতাধিক স্টল বসছে।
জেলা প্রশাসক ও সুলতান ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানান, জাঁকজমকপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হওয়া এ মেলায় প্রতিদিন সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও দূর-দূরান্ত থেকে বিপূল সংখ্যক দর্শনার্থীর আগমন ঘটবে।
বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইল শহরের মাছিমদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮২ সালে একুশে পদক, ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদক পান। ১৯৮৪ সালে তিনি বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্ট অব আর্টিষ্ট হিসেবে স্বীকৃতি পান এবং ১৯৮৬ সালে চারুশিল্পী সংসদ সম্মননা পান। ১৯৪৬ সালে ভারতের সিমলায় তাঁর একক চিত্র প্রদর্শনী, লাহোরে ১৯৪৮ সালে, করাচীতে ১৯৪৯ সালে, লন্ডনে ১৯৫০ সালে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ১৯৭৬ সালে এবং ঢাকাস্থ জার্মান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ১৯৮৭ সালে তার চিত্র প্রদর্শিত হয়।
১৯৯৪ সালে ১০ অক্টোবর চিরকুমার এই শিল্পী দীর্ঘদিন শ্বাসকষ্টে ভোগার পর শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। সুলতানের স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য শহরের কুড়িগ্রামস্থ তার নিজ বাড়িতে নির্মিত হয়েছে এস এম সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালা।
কেআই//