ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদালত বর্জন অব্যাহত, বিচার প্রার্থীদের ভোগান্তি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৩:০৩ পিএম, ৮ জানুয়ারি ২০২৩ রবিবার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২য় দিনের মতো চলছে আইনজীবীদের আদালত বর্জন কর্মসূচি। এতে করে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। 

রোববার সকাল থেকে জেলার কোন আদালতেই যাননি আইনজীবীরা। আইনজীবী সমিতির কার্যালয় চত্তরে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালন করছেন তারা। 

এর আগে জেলা জজ শারমিন নিগার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১ এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুক ও আদালতের নাজির মোমিনুল হকের অপসারনের দাবিতে বৃহস্পতি, রবি ও সোমবার পর্যন্ত ৩ দিনের জন্য সকল কোর্ট বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা আইনজীবী সমিতি।

এদিকে আদালত বর্জনকে ঘিরে সকাল থেকে জেলা জজ আদালত, চীফ জুডিশিয়াল আদালতসহ সবকটি আদালতের বিচারিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বিচারপ্রাথীরা দূর-দূরান্ত থেকে আসলেও আইনজীবীদের কোর্ট বর্জন ও আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম না থাকায় ফিরে যান। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন বিচারপ্রার্থীরা। 

অ্যাডভোকেট তানভীর ভুইয়া জানান, আমাদের কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। আমরা আশা করছি, বিষয়গুলোর সুরাহা হবে। সুরাহা না হলে কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। যতদিন পর্যন্ত দাবি আদায় না হবে আন্দোলন বিভিন্ন কৌশলে চলমান থাকবে। 

তিনি আরও জানান, আমরা আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ১৭ তারিখ উপস্থিত থেকে বিচারপতির কাছে আমাদের বক্তব্য উপস্থাপন করবো।

এ বিষয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ মোস্তফা কামাল বলেন, আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে আইনজীবীরা আদালতে না আসায় বিচার প্রার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

উল্লেখ্য, গেল ১ ডিসেম্বর একটি মামলা দায়েরকে কেন্দ্র করে আইনজীবী সমিতির নেতাসহ একাধিক আইনজীবীর সঙ্গে বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের বিতণ্ডা হয়। এ ঘটনায় ২৬ ডিসেম্বর সভা করে ১ জানুয়ারি থেকে সংশ্লিষ্ট আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা আইনজীবী সমিতি। এছাড়াও বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারনে জেলা জজের কাছে দাবি জানান। 

এএইচ