ঢাকা, শুক্রবার   ১১ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২৫ ১৪৩১

বেগমগঞ্জে গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৫৫ পিএম, ৯ জানুয়ারি ২০২৩ সোমবার

নোয়াখালী প্রতিনিধিনোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়ন থেকে ফাহিমা আক্তার (১৮) নামের এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে অন্ততপুর গ্রাম থেকে নিহতের মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।

সোমবার দুপুরে সুধারাম মডেল থানা পুলিশ নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। নিহত ফাহিমা আক্তার উপজেলার কামদেবপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম রাসেলের স্ত্রী।

ফাহিমার মা জাহানারা বেগম বলেন, নবম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে পারিবারিকভাবে সাইফুলের সাথে বিয়ে হয় ফাহিমার। বিয়ের পর থেকে যৌতুক সহ নানা অজুহাতে ফাহিমাকে মারধর করতো সাইফুল ও তার পরিবারের সদস্যরা। রোববার রাতেও ফাহিমাকে মারধর করে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা। রাত আনুমানিক ১টার দিকে ফাহিমার স্বামী ফোনে জানান তাদের মেয়েকে নিয়ে যেতে। কিন্তু কি হয়েছে তা বিস্তারিত জানায়নি। পরে সোমবার সকালে পুনরায় ফোন দিয়ে জানায় ফাহিমাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে তারা তাদের মেয়ের মৃতদেহ পেয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ ফাহিমাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে ফাহিমার স্বামী সাইফুল ইসলাম রাসেল বলেন, রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সামান্য বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে তিনি ওয়াশরুমে গেলে রুমের ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে সিলিং এর সঙ্গে কাপড় পেঁছিয়ে আত্মহত্যা করে ফাহিমা। এক পর্যায়ে দর্জার পাশের অংশ ভেঙে শোয়ার রুম থেকে তাকে উদ্ধার করে রাতেই হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  

বেগমগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) আবদুল আউয়াল বলেন, ফাহিমা গত কয়েকদিন অসুস্থ, রোববার রাতে স্বামীর সাথে বাজারে গিয়ে ওষুধ এনেছিলো। স্বামীর পরিবার বলছে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি নিয়ে ফাহিমা আত্মহত্যা করেছে। নিহতের মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। ঘটনায় পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কেআই//