বিপিএলে ইতিহাস, একই ম্যাচে সেঞ্চুরি দুই পাকিস্তানির!
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৩৩ পিএম, ৯ জানুয়ারি ২০২৩ সোমবার
চলতি বিপিএলের দিনের দ্বিতীয় ম্যাচেও রান দেখেছেন দর্শকেরা। আজও (৯ জানুয়ারি) মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে রানের সঙ্গে টুর্নামেন্টের চলতি মৌসুমের প্রথম ও দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটাও দেখে ফেললেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এবারের বিপিএলে প্রথম ও দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়েছেন পাকিস্তানেরই দুই বিধ্বংসী ব্যাটার আজম খান ও উসমান খান।
বিপিএলের নবম আসরে প্রথম শতকটি হাঁকিয়েছেন আজম খান। পাকিস্তানি এই দীর্ঘদেহী ব্যাটারের বিস্ফোরক শতকে চড়েই ১৭৮ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহই গড়ে খুলনা টাইগার্স। তবে স্বদেশি উসমান খানের পাল্টা শতকে ম্লান হয়ে যায় আজমের উইলোবাজি।
ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে খুলনার দেওয়া চ্যালেঞ্জটা সহজেই উতরে যায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন ২৮ বছর বয়সী এই ব্যাটার। ৪ বল বাকি থাকতেই ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় পায় ইয়াসির আলীর দল।
রাতের শিশিরের কারণে মিরপুরের উইকেট অনেকটাই ব্যাটারদের হয়ে কথা বলে। তাই আজমের সেঞ্চুরিকে সফল পরিণতি দিতে পারলেন না খুলনার বোলাররা। তাকে ম্লান করে শেষ হাসি হাসেন তারই স্বদেশী উসমান খান। ডানহাতি এই ব্যাটারের সেঞ্চুরিতে মাত্র ১টি উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে সাইফুদ্দিনকে ছক্কা হাঁকিয়ে ৫৫ বলেই তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে ফেলেন উসমান। পরে আরও ৩টি বল মোকাবিলা করে অপরাজিত থাকেন ১০৩ রানে। তার এই মারকাটারি ইনিংসে ছিলো ১০টি চারের সঙ্গে পাঁচটি ছক্কার মার।
বিপিএলের ইতিহাসে একই ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরির এটি চতুর্থ ঘটনা। প্রথমটি অবশ্য একই দলের হয়ে। ২০১৯ সালে চিটাগাং ভাইকিংসের বিপক্ষে জোড়া সেঞ্চুরি করেছিলেন রংপুর রাইডার্সের রাইলি রুশো ও অ্যালেক্স হেলস। গত বছর ঢাকার বিপক্ষে সিলেটের লেন্ডল সিমন্স সেঞ্চুরি করলেও তা ভেস্তে যায় তামিম ইকবালের বিধ্বংসী শতকে।
একই আসরে ফ্যাফ ডু প্লেসিসের সেঞ্চুরিকে ম্লান করে দেন আন্দ্রে ফ্লেচার। এবার আজম খানকে ট্রাজিক হিরো বানালেন উসমান খান।
এদিন রাতের ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাঁচ উইকেটে ১৭৮ রান করে খুলনা টাগার্স। তবে শুরুটা বাজে ছিল তাদের। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে দলীয় ১২ রানেই দুই উইকেট হারায় খুলনা। এরপর তামিম ইকবালকে নিয়ে জোড়া ধাক্কা সামাল দেন আজম। তৃতীয় উইকেট জুটিতে দুজন যোগ করেন ৯২ রান। জুটিতে তামিম যতটা শান্ত ছিলেন ততটাই আগ্রাসী ছিলেন পাকিস্তানি ব্যাটার।
৩৭ বলে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কায় ৪০ রানে আউট হন তামিম। ভাঙে জুটি। তবে সঙ্গী হারালেও সঙ্গ হারান না পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার মঈন খানের পুত্র আজম। ম্যাচের আগা-গোড়া আগ্রাসী মেজাজে ছিলেন তিনি। ৩৩ বলে ছুঁয়েছেন ফিফটি। পরের ফিফটি রান তিনি যোগ করেছেন ২৪ বলে। শেষ পর্যন্ত ৫৮ বলে ১০৯ রানে অজেয় থাকেন আজম।
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে আজমের আগের সেরা ছিল ৮৮ রান। এবার নিজেকে ছাড়িয়ে গেলেন তিনি। নয়টি চার ও আট ছক্কায় রাজসিক ইনিংসটা সাজিয়েছেন ২৪ বছর বয়সী আজম। বিপিএলের ইতিহাসে এটা ২৬তম সেঞ্চুরি।
তবে প্রথম পাকিস্তানি হিসেবে টুর্নামেন্টে শতক হাঁকিয়ে ইতিহাস গড়লেন তিনি। বিপিএলে সর্বোচ্চ পাঁচটি সেঞ্চুরি আছে ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইলের।
এনএস//