ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

গণপূর্তের বাধায় বন্ধ স্কুল নির্মাণের কাজ, ঝুঁকিতে ৩শ’ শিক্ষার্থী (ভিডিও)

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৩:৫৪ পিএম, ১০ জানুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৩:৫৫ পিএম, ১০ জানুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার

নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর হরিনারায়ণপুর বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের নির্মাণ শুরু হলেও গণপূর্ত বিভাগের বাধায় বন্ধ হয়ে গেছে কাজ। বাধ্য হয়েই জীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় শিক্ষক-অভিভাবকরা। 

বাইরের দৃশ্যই বলে দিচ্ছে এ যেনো পরিত্যক্ত একটি ভবন। ভেতরটাও আঁতকে উঠার মতো। পলেস্তরা খসে পড়ে ইট আর রডের ওপর দাঁড়িয়ে আছে ভবনটি। দোতলার এই কক্ষের ছাদের এই অংশটিই ধসে পড়েছে। আতঙ্কে দিন কাটে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। 

এই চিত্র নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর হরিনারায়ণপুর বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের। নামে বালিকা বিদ্যালয় হলেও চালু আছে সহশিক্ষা। সবমিলিয়ে বিদ্যালয়টিতে তিনশ’ শিক্ষার্থী রয়েছে। 

গেলো ১০ বছর ধরেই এভাবেই চলছে পাঠদান। যে কোনো সময় ভবনটি ধ্বসে পড়ার শঙ্কায় দিন কাটে শিক্ষক-অভিভাবকদের। এরই মধ্যে অনেক শিক্ষার্থীই ভয়ে বিদ্যালয় ছেড়েছে। 

শিক্ষার্থীরা জানান, ক্লাস রুমে দাঁড়িয়ে ছিলাম তখন অনেক জোড়ে একটি আওয়াজ হয়, ভয়ে আমরা সবাই বের হয়ে যাই।

শিক্ষকরা জানান, আমাদের শিক্ষার্থী, আমরা যারা শিক্ষক এবং অভিভাবক- সবার জন্যই এতোটাই ঝুঁকিপূর্ণ যে কোনো সময়ে পুরো বিল্ডিং পড়ে যেতে পারে। 

দীর্ঘদিন কর্তৃপক্ষের দুয়ারে ধর্ণা দিয়ে নতুন ভবন নির্মাণের কাজও শুরু করে এলজিইডি। কিন্তু সেখানে বাধা দেয় আরেক প্রতিষ্ঠান গণপূর্ত বিভাগ। 

হরিনারায়ণপুর বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলেকা বেগম বলেন, “বিভিন্ন দপ্তরে চেয়ে অর্ডার আনা হয়, কাজও আরম্ভ হয়। এই মুহূর্তে গণপূর্ত বিভাগ কাজটি বন্ধ করে দেয়।”

নোয়াখালীর এলজিইডি প্রকৌশলী আবুল মনসুর আহমেদ বলেন, “নির্ধারিত জায়গায় যখন লে-আউট দিতে যাব তখন গণপূর্ত অধিদপ্তর লিখিত অভিযোগ করে যে এটা তাদের জায়গা, স্কুল কর্তৃপক্ষের নয়। তাদের অভিযোগে পরবর্তী কাজ বন্ধ রাখা হয়।”

অভিযোগ অস্বীকার করে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বলছেন, সরকারি আবাসিক এলাকায় একাধিক ভবন হওয়ায় বিদ্যালয়টি সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। নতুন স্থান নির্ধারণের জন্য সাময়িক কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। 

নোয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী  সা’দ মোহাম্মদ আন্দালিব বলেন, “একটি উন্মুক্ত এলাকায় ওই ভবনটি স্থানান্তর করা যায় কিনা সেই সম্ভাবনা যাচাইয়ের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যাচাইয়ের কাজ চলছে, পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।”

নতুন স্থানে বিদ্যালয় স্থানান্তর করার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের নামে সময় ক্ষেপণ না করে পুরনো স্থানে বিদ্যালয় পুনঃনির্মাণের দাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। 

এএইচ