মেয়র আতিকের ‘কলা গাছ থেরাপি’
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৫৯ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০২৩ বুধবার | আপডেট: ০১:০২ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০২৩ বুধবার
পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ সারফেস ড্রেনে, খালে বা লেকে দেওয়া বন্ধ করতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) অভিযানে নেমেছে। কয়েকদিন ধরেই এ অভিযান শুরু হয়েছে। যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম নিজেই। এ অভিযানের প্রধান অস্ত্র ‘কলা গাছ’। অনেকেই এটিকে বলছেন- মেয়র আতিকের ‘কলা গাছ থেরাপি’।
রাজধানী বিভিন্ন স্থানে পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ সারফেস ড্রেনে, খালে বা লেকে দেওয়া বন্ধ করতে বাসার সামনে থাকা ড্রেনে কলা গাছ ঢুকিয়ে এ কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হয়। বুধবার (৪ জানুয়ারি) বেলা পৌনে ১২টার দিকে গুলশান ২ এর ১১২ নম্বর রোডের একটি বাসার ড্রেনে কলাগাছ ঢুকিয়ে অভিযান শুরু করেন মেয়র নিজেই। তার নির্দেশে পরে আরও বেশ কিছু বাসা-বাড়ির ড্রেনের লাইনে একই পদ্ধতিতে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
গুলশানের মতো ‘কলা গাছ থেরাপি’ দেওয়া হলো বারিধারায়। বুধবার (১১ জানুয়ারি) বারিধারার ১১ নম্বর রোডের একটি বাড়ির ড্রেনে কল গাছ ঢুকিয়ে এই থেরাপির অভিযান শুরু হয়। এদিনও অভিযান পরিচালনা করছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
এ সময় ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, “আমরা বারবার সচেতন করার পরও বাড়ির মালিকরা এমন লাইন দিয়ে রেখেছেন। বারিধারা এই অভিজাত এলাকা, এই এলাকার মানুষরাও যদি সচেতন না হয় তাহলে আমরা আর কি করতে পারি। পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ সারফেস ড্রেনে, খালে বা লেকে দেওয়া বন্ধ করত আমরা অভিযান শুরু করেছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে, এখানে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যে আমরা এই তালিকা প্রণয়ন করে ফেলেছি। এমন সব বাসা বাড়িতে আমরা অভিযান পরিচালনা করব, যেখানে কেউ বিন্দুমাত্র ছাড় পাবেন না।”
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন তাদের নিজেদের জরিপের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে দেখেছে গুলশান, বারিধারা, বনানী, নিকেতন এলাকার ৩ হাজার ৮৩০টি বাড়ির মধ্যে ২ হাজার ২৬৫ টির সুয়ারেজ লাইন লেক কিংবা ড্রেনে সংযোগ দেওয়া আছে। এটির শতাংশের হিসেবে দাঁড়ায় মোট বাড়ির ৮৫ শতাংশ। ফলে লেকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে ও মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মেয়র বলেন, “কোনোভাবেই ব্ল্যাক ওয়াটার সিটি করপোরেশনের ড্রেনে, খালে, লেকে ঢুকতে পারবে না। অনেক আগে থেকেই এ বিষয়ে সবাইকে জানিয়ে আসছি, সচেতন করে আসছি। গণবিজ্ঞপ্তিও দিয়েছি, কিন্তু তারা কথা শুনেননি। তাই এই অভিযান শুরু করেছি। বাসার সামনে গিয়ে ড্রেনগুলো আমরা কলাগাছ দিয়ে বন্ধ করে দিচ্ছি।”
এসএ/