শ ম রেজাউল করিম
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে পরিপূর্ণতা পায় বাংলাদেশ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:০৯ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০২৩ বুধবার | আপডেট: ০৩:১১ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০২৩ বুধবার
বঙ্গবন্ধুকে বিপ্লবী ও জাতীয়তাবাদী নেতা হিসেবে উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও স্বাধীনতা বিরোধীরা সে দেশে রাজনীতির অধিকার পায় না। কিন্তু ৭৫ পরবর্তী সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধীরা পূনর্বাসিত হয়েছে।
বর্তমান সময়ে বঙ্গবন্ধুর প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে পরিপূর্নতা পেয়েছিল বাংলাদেশ।”
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আজ বুধবার (১১ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ শিরোনামে এ আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, “প্রতিক্রিয়াশীলরা যে যে দলের সাথেই যুক্ত থাকুন না কেন, নির্বাচনে নৌকাকে ঠেকিয়ে রাখার জন্য স্বাধীনতা বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে যায়।”
এসময় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তার কথা তুলে ধরেন তিনি। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী। খালেদা জিয়া তারেক রহমানসহ বিএনপিও জিয়া হত্যার বিচার কেন করে নাই সে প্রশ্নও তুলে ধরেন শ ম রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, “১৯৭১ সালে যে দেশ বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছিল, তারা এখোনো ষঢ়যন্ত্রে লিপ্ত আছে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহবায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের যে ইতিহাস আমরা জানি তার বাইরেও অনেক তথ্য ও ইতিহাস আছে।” সেসব তথ্য ইতিহাসবিদ ও গবেষকরা তুলে আনবেন বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
ভারতীয় মিত্র বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেন, ১৯৭২ সালের যুদ্ধে পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তানের ৫ হাজার বর্গ কিলোমিটার ভূমি ভারত ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দেয়ার শর্তে। মুক্তিযুদ্ধের চতেনার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের ১০ জানুয়ারি কথা বারবার বলতে হবে এবং বঙ্গবন্ধুর কাছেই আসতে হবে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক শ্যামল দত্ত বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ভারতীয় কুটনীতির সফলতা হিসেবে উল্লেখ করেন। ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশে ষঢ়যন্ত্রের বিষয়ে যে ইঙ্গিত প্রদান করেছিলন সে বিষয়ও বক্তব্যে তুলে ধরেন শ্যামল দত্ত।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের অর্জিত বিজয় পরিপূর্ণতা পেয়েছিল বলে বক্তাগণ উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, সম্প্রীতি বাংলাদেশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহবায়ক অধ্যাপক ড. বিমান বড়ুয়া।
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস শিরোনামের অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার।
এসএ/