শীতকালে অন্তঃসত্ত্বা নারীর যে ৫ খাবার জরুরী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:২৮ এএম, ১৫ জানুয়ারি ২০২৩ রবিবার
শরীরে নতুন প্রাণের উপস্থিতি টের পাওয়া মাত্রই দরকার হয় বাড়তি যত্নের। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মায়ের শরীরের উপর নির্ভর করবে গর্ভস্থ সন্তানের ভালো-মন্দ। তাই মাকে ভেতর এবং বাইরে থেকে ভালো থাকতে হবে। মন তো বটেই, সেই সঙ্গে সতর্ক থাকা জরুরি শরীরের বিষয়ে। তাই অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় খাওয়াদাওয়ায় বদল আনা জরুরি।
চলুন জেনে নেওয়া যাক মা হওয়ার আগে প্রতিদিনের খাবারে কোন খাবারগুলো রাখা উচিত...
মাছ
শরীরের যত্ন নিতে পারে যে খাবারগুলো, মাছ তার মধ্যে অন্যতম। চিকিৎসকরা অন্তঃসত্ত্বাদের প্রতিদিনের পাতে মাছ রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বিশেষ করে যে মাছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। সামুদ্রিক মাছেই সাধারণত ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এই মাছ হবু সন্তানের মস্তিষ্ক গঠনে সাহায্য করে। বুদ্ধির প্রখরতা বাড়াতেও সামুদ্রিক মাছ দারুণ উপকারী।
ডাল
শরীরে পুষ্টি জোগাতে ডালের ভূমিকা অনবদ্য। এর মতো পুষ্টিকর খাবার খুব কম রয়েছে। মুসুর ডাল, অড়হড় ডাল, রাজমার মতো ডালগুলো অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বেশি করে খেতে বলেন চিকিৎসকরা। ফাইবার, প্রোটিন, আয়রন, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন বি-সমৃদ্ধ ডাল গর্ভাবস্থার প্রথম কয়েক মাসে খাওয়া জরুরি।
মটরশুঁটি
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মটরশুঁটি খেতে ভুলবেন না। এর মতো উপকারী সব্জি খুব কমই রয়েছে। ফলিক অ্যাসিডের সমৃদ্ধ উৎস মটরশুঁটি। এই অ্যাসিড হবু সন্তানের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। মস্তিষ্কের প্রতিটি কোষ সচল রাখে। এমনিক স্তন্যদুগ্ধের উৎপাদন বাড়াতেও মটরশুঁটি সাহায্য করে।
আখরোট
ফাইবার, ভিটামিন ই-এর সমৃদ্ধ উৎস হল আখরোট। এই বাদাম শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। রোগের সঙ্গে লড়তেও সাহায্য করে। শীতকাল মানেই সর্দিকাশি লেগেই রয়েছে। শীতকালীন সংক্রমণ কমাতে অন্তঃসত্ত্বারা ভরসা রাখতে পারেন আখরোটের উপর। আখরোটে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের সমৃদ্ধ উৎস। শীতকালে অন্তঃসত্ত্বা হলে অবশ্যই আখরোট খান।
দই
অন্তঃসত্ত্বাকালীন অবস্থায় শরীরে ক্যালশিয়ামের প্রয়োজন পড়ে। বিশেষ করে গর্ভস্থ শিশুর বেড়ে ওঠায় ক্যালশিয়াম একটি উপকারী উপাদান। দইতে ক্যালশিয়াম ভরপুর মাত্রায় রয়েছে। হবু সন্তানের হাড়ের যত্ন নিতে এই সময় দই খান বেশি করে। মায়ের পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও রোজ দই খাওয়া জরুরি।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
এমএম/