ব্রিজ আছে সংযোগ সড়ক নেই, দুর্ভোগে তিন উপজেলা (ভিডিও)
ফারুক হোসেন, মেহেরপুর থেকে
প্রকাশিত : ০২:৪১ পিএম, ১৫ জানুয়ারি ২০২৩ রবিবার
কোথাও ব্রিজ আছে, নেই সংযোগ সড়ক। কোথাও বাঁশের ঠেকনা দিয়ে চলছে ভাঙা ব্রিজ। এতে ঝুঁকিতে দুইপাড়ের মানুষ। অন্যত্র আবার ব্রিজ না থাকায় বিপাকে বাসিন্দারা।
বাঁশের ঠেকনা দিয়ে পাঁচ বছর ধরে টিকিয়ে রাখা ব্রিজটি নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্থানীয়রা।
তারা জানান, ব্রিজের নীচে বাঁশ দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে। গাড়ি গেলেই ব্রিজ শুধু ঝাপায়, কখন যে ভেঙে পড়ে।
৩০ বছর আগে তেরাইল পশ্চিমপাড়া ও দেবিপুরকে এক করতে নির্মিত হয় ব্রিজটি। পুননির্মাণের আবেদন জানিয়ে এতোদিনেও ফল পাননি এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, বার বার মাপঝোপ হয়েছে কিন্তু কাজ হয়নি। এর কারণটি কি তা আমরা বুঝতে পারছিনা।
সয়েল টেস্ট, টেন্ডার আর দাপ্তরিক ফয়সালায় আটকে আছে ব্রিজটির ভবিষ্যৎ।
মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামান খোকন বলেন, “দেবিপুর ব্রিজটি ত্রাণ পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে তৈরি করা। আর রাস্তাটি হচ্ছে এলজিইডির। এই দুটি সংস্থার টানাটানির কারণেই ব্রিজটি হচ্ছে না।”
গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল হোসেন বলেন, “সয়েল টেস্ট ও মিস্টিমেটও হয়ে গেছে। যত দ্রুত সম্ভব টেন্ডার হলেই কাজটা শুরু হবে।”
এদিকে, গাংনী ও দৌলতপুর উপজেলার দুই পাড়কে সংযুক্ত করতে নির্মাণ করা হয় সেতু। তবে জমি অধিগ্রহণের অজুহাতে সংযোগ সড়ক না হওয়ায় কমেনি দুর্ভোগ।
গ্রামবাসীরা জানান, ব্রিজটি হয়েছে তা ঠিক আছে। কিন্তু ১শ’ ফুট রাস্তা না হওয়ার কারণে আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে আমাদের যেতে হয় “
জটিলতা কাটিয়ে দ্রুতই চলাচলের উপযোগী করার আশ্বাস কর্তৃপক্ষের।
প্রকৌশলী ফয়সাল হোসেন বলেন, “নির্মাণ কাজের শেষে দিকে তারা জমি দিতে অপরাগতা জানায়। এ কারণে রাস্তাটি নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি।”
এদিকে গাংনীর মোহাম্মদপুর ও কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের শ্যামপুরে মাথাভাঙা নদীর উপর পাকা সেতু না হওয়ায় দুর্ভোগে দুই উপজেলার লাখো মানুষ।
ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী।
তিনি বলেন, “এ পাশে সুন্দর একটা রাস্তা আছে, ওপাশটা সরেজমিনে দেখে ব্রিজ সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিবে।”
তবে প্রতিশ্রুতি নয়, দ্রুতই বাস্তবায়ন চান ভুক্তভোগী বাসিন্দারা।
এএইচ