সব্যসাচী আসলেন, জয় করলেন, কাঁদালেন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:১৪ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ সোমবার
বাংলা চলচ্চিত্র জগতের সিনিয়র অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী। দীর্ঘদিন ধরে ছোটপর্দা এবং বড়পর্দায় রাজত্ব করেছেন তিনি। দর্শকদের উপহার দিয়েছেন বহু জনপ্রিয় সিনেমা এবং সিরিয়াল। বিশেষ করে নব্বইয়ের দশকের দর্শকদের কাছে ‘ফেলুদা’ মানেই সব্যসাচী। কিংবদন্তি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পরে তিনিই ফেলুদাকে জীবন্ত করে তুলেছিলেন পর্দায়।
ফেলুদা হিসাবে অনেকদিনই হল দেখা যায় না তাঁকে। অনুরাগীদের জন্য খারাপ খবর হচ্ছে অভিনয় থেকেই অবসর নিতে চলেছেন তিনি। আর কোনো সিনেমাতেই দেখা যাবে না তাঁকে। ক্যামেরার সামনে আর না ফেরারই সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন সব্যসাচী।
সম্প্রতি ২১তম ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবে অতিথি হয়ে এসেছিলেন সব্যসাচী। তাঁর নতুন সিনেমা ‘জেকে ১৯৭১’ এর প্রদর্শনী হয়েছে এখানে। এক সাক্ষাৎকারে নিজের অভিনয় জীবন নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। আর তখনি ফাঁস করেন অবসরের পরিকল্পনা। ওপার বাংলার এ তারকা এপার বাংলায় এসে জয় করলেন ভক্তদের হৃদয়। তবে তার সিদ্ধান্তে আহত হয়েছেন অনেকেই।
অভিনয় জগতে কয়েক দশক হয়ে গেল সব্যসাচীর। বয়সের কারণে নিজেই ফেলুদা চরিত্র থেকে সরে আসেন তিনি। সংবাদ মাধ্যমের কাছে সব্যসাচী জানান, ফেলুদা চরিত্রে তাঁর সাফল্য নিয়ে তিনি গর্বিত। তবে এখন আর কোনো সিনেমাতেই তাঁকে দেখা যাবে না। অভিনয় থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
সব্যসাচী স্পষ্টই বলেন, এখন অবসরের সময় তাঁর। বয়স হয়েছে। শরীরও একটু অসুস্থ। মাঝে করোনা আক্রান্তও হয়েছিলেন তিনি।
অভিনেতা বলেন, এখন একটু আরামে থাকতে চান তিনি। অবসর জীবনে কী করবেন তার পরিকল্পনাও করে ফেলেছেন সব্যসাচী। বই পড়ে, খেলা দেখে অবসর জীবন কাটাবেন তিনি।
অভিনেতা সব্যসাচীর আরো একটি গুণও জানেন সকলেই। তিনি খুব ভাল ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার। সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়েন ঘুরতে। দুই ছেলে গৌরব আর অর্জুনও বাবার এই গুণ পেয়েছেন। পাশাপাশি অভিনয় জগতেও জনপ্রিয়তা পেয়ে গিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে ঢাকায় এসে নন্দিত এই অভিনেতা বলেন, “আমার সৌভাগ্য যে, ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী মঞ্চে বসার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আমাকে এই সুযোগ দেওয়ায় কৃতজ্ঞ, ধন্য, গৌরবান্বিত। এর আগেও এই উৎসবে আসার কথা ছিলো। কিন্তু করোনার কারণে আসা হয়নি। এবার আসতে পেরে ভালো লাগছে।”
সব্যসাচী বলেন, “এটা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। সুতরাং পুরোটা যদি বাংলায় বলি, তাহলে ভালো দেখাবে না। তবে বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। বাংলা বলতে গর্ববোধ করি বলেই বাংলাতে কথাগুলো বলেছি।”
ইংরেজিতে অনুভূতি প্রকাশ করে অভিনেতা বলেন, “আমার জন্য আরো আনন্দের ব্যাপার হলো, যেই সিনেমা (জেকে ১৯৭১) দিয়ে উৎসবটি শুরু হচ্ছে, আমিও সেটার ক্ষুদ্র একটি অংশ। আমি এখানে একজন পাকিস্তানির ভূমিকায় অভিনয় করেছি। যে বিমানটি ছিনতাই হয়, আমি সেটার ক্যাপ্টেন।”
এসএ/